মোংলায় দুই ভাইকে মারধরের ঘটনায় মেম্বার সহ গ্রেফতার-৪

মোংলা প্রতিনিধি 

আপডেট : ০৯:৪৪ পিএম, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ | ৫১৫

মোংলায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে মারধর মামলার প্রধান আসামী ইউপি মেম্বার সুলতান সহ ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। রোববার রাতে তাদের মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে আটককৃতদের আদালতের মধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। আটককৃত অপর তিনজন হলেন কানাইনগর এলাকার খোকন ঘোষাল (৩০), বেল্লাল খাঁ (৪৫) ও মোঃ নিয়ামুল ব্যাপারী (৩০)।
সুলতার মেম্বার পরিবারের দাবী, ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষ পরাজিত প্রার্থীর কুটকৌশলে সুলতানকে ফাঁসিয়েছে। দুই সহদরকে মারধরের ঘটনায় মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয় মোংলা থানায়। এ মামলায় জামিন নেয়ার জন্য আদালতে যায় ইউপি মেম্বার সুলতার সহ তার সাথে থাকা অভিযুক্তরা। নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর লোকজন এ নিয়ে সোসাল মিডিয়ায় লেখালেখি করে ।
এরপর রবিবার সন্ধ্যায় র‌্যাবের একটি দল গোপন সংবাদের ভিক্তিতে বাগেরহাট সদরের ষাটগম্বুজ মসজিদ এলাকা থেকে ওই চার আসামীকে গ্রেফতার করে। সোমবার (১৮ এপ্রিল ) সকালে র‌্যাব-৬ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে মোংলা পোর্ট পৌর শহরের বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকার নামে দুই ভাইযের সাথে টাকা লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সেখান থেকে লোকজ তাদের মিমাংশা করার জন্য সিঙ্গাপুর মার্কেটে মেম্বার পুত্র জাকির হোসেনের দোকানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাদের মারা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে আহত দুই ভাই বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকারকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভাই কুমুদ সরকার বাদী হয়ে মেম্বার সুলতান হাওলাদার ও তার ছেলে জাকির হাওলাদার ও কালাম হাওলাদারসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম জানান, চাদপাই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কানাইনগর এলাকায় একটি ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ওই রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলার সুত্র ধরে ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৬ এর সদস্যরা। তাদের সোমবার আদালতের পাঠানো হয়।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত