কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে কর্মস্থলে ফেরা হাজারও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ১১:১০ পিএম, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২ | ৪২৯

বাগেরহাটের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে কর্মস্থলে ফেরা ঢাকা-চট্টগ্রামগামী হাজারও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় সামলাতে পরিবহন চালক ও কাউন্টার গুলি রীতিমত হিমসীম খাচ্ছেন। পূর্বের তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও পরিবহনে কোন সীট পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ফিরতি যাত্রী সাধারন চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন। একদিকে তীব্র পরিবহন সংকট এবং অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়া যাত্রীদেরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহিন দুর্ভোগ।

জানা গেছে, ঈদের দীর্ঘ ছুটির পর ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষেরা এখন কর্মস্থল ঢাকা চট্টগ্রাম রাজশাহী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে পরিবহন বা যানবাহন না থাকায় তারা এক প্রকার মহাবিপাকে পড়েছেন। আবার পরিবহন বা যানবাহন পেলেও তাতে নিদিষ্ট কোন সীট না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন নানাবিধ সমস্যায়। শুধু তাই নয়, হঠাৎ করে বাড়তি যাত্রীদের প্রচন্ড চাপে পরিবহন কাউন্টার গুলি রীতিমত দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ঢাকা-চট্টগ্রামগামী যাত্রী মোঃ হাবিবুর রহমান, আনিছুর রহমান, রহিমা বেগম ও সুমি আক্তারসহ একাধিক যাত্রীরা জানান, পবিত্র ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখার জন্য তার উপর দিয়ে একপ্রকার নাড়ীর টানে তারা নিজ বাড়িতে এসেছিলেন ঈদ করতে। ঈদ শেষে নিজ কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কাটাখালী বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু কোন কাউন্টারে কোন সীট নাই, তাছাড়া তীব্র পরিবহনের সংকটও রয়েছে। সকাল ৭টার পরিবহন এখন ৯টা বাজে এখনো আসেনি। একটি বাস বা পরিবহন আসলে সকল যাত্রীরা সেখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আবার কোন কোন পরিবহন পেলেও তার সীট আগে থেকেই বিক্রয় হয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, গত ঈদে আমরা বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু যাওয়ার সময় কিছুটা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যেতে পারলেও এখন তা পারছি না। আগে ঢাকা-চট্টগ্রামের যে ভাড়া দিয়েছি এখন সেই ভাড়া বাড়িয়ে ঢাকা ১২শত এবং চট্টগ্রাম ১৬শত টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় এখন ১০গুন যাত্রী বেড়েছে বলেও তারা স্বীকার করেন।

স্থানীয় কাউন্টারম্যান শামীম আহম্মেদ, রাজু আহম্মেদ, মিলন কুমার দে, সিরাজুল ইসলাম, ফারুক হোসেন ও আব্দুল কাদের মোড়ল জানান, দীর্ঘ ছুটির পর যাত্রীরা একসাথে সকলে এই বাসস্ট্যান্ডে এসে হাজির হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিদিষ্ট যে পরিবহন গুলি রয়েছে, তার সীট আগে থেকেই বুক করা হয়েছে। এই সমস্ত যাত্রীরা সীট বুক না করেই হঠাৎ করে চলে আসায় আমরা তাদের জন্য কোন বা পরিবহন ম্যানেজ করতে পারছি না। তাছাড়া পরিবহন দায়িত্বে যারা রয়েছে, তাদের বেঁধে দেওয়া ভাড়া আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছি। আমরা কোন অতিরিক্ত ভাড়া বা কোন প্রকার অনিয়ম করছি না বলেও তারা জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত