পৈত্রিক সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দখল করার অপচেষ্টা ও মিথ্যা মামলা হামলার ভয়ভীতির প্রতিবাদে 

পিরোজপুরে মুদি ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুর প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:২৮ পিএম, শনিবার, ৬ আগস্ট ২০২২ | ৩৫৭

পিরোজপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আলামকাঠী এলাকায় নাছির সেখ নামে এক মুদি ব্যবসায়ীর মুদি দোকানের পেছনের পৈত্রিক সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দখল করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মুদি ব্যবসায়ী নাছির সেখ। শনিবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে পৈত্রিক সম্পত্তি বেআইনি ভাবে দখল করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে ভূমিদস্যুদের হাত থেকে ন্যায় বিচার চেয়ে এবং তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও মারধরের ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে মো: নাছির সেখ জানান, তার পিতা মরহুম মো: নেছার উদ্দিন সেখ স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসলমানদের অনুরোধে এলাকাবাসীর নামাজের সুবিধার্থে আলামকাঠী মৌজায় তার নিজ সম্পত্তি ২২৪ নং এস এ খতিয়ানের অন্তর্গত এস এ ১১৩ নং দাগ থেকে ০৪ শতাংশ জমি আলামকাঠী গুলজার জামে মসজিদে ১৯৭৬ সালে ১৭১৩ নং ওয়াকফ দলিল ভুক্ত রেজিষ্ট্রি করে দেন। এই ১১৩ নং দাগের পাশে ১১২ নং দাগের উত্তর পূর্ব কোনে আমার একটি মুদি দোকান রয়েছে। আমি দোকানটি মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিলে বর্তমান মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মাসুদ সেখ, সাধারণ সম্পাদক মো: জামাল সেখ বাচ্চু ও ক্যাশিয়ার তাজুল ইসলাম নিপু আমাকে বাঁধা প্রদান করে। আমার পৈত্রিক সম্পত্তি ১১২ নং দাগে মসজিদের নামে কোন ওয়াকফ করে দেয়া হয়নি তারপরেও এই জমিতে আমি মুসল্লিদের সুবিধার্থে বাথরুম তৈরীর সুযোগ দিয়েছি। কিন্ত বাকি জায়গায় আমার দোকান ঘর করতে চাইলে মসজিদ কমিটি মসজিদের জায়গা বলে আমাকে বাঁধা প্রদান করে এবং আমাকে হুমকি দেয়।


বর্তমান মসজিদ কমিটির লোকজন প্রভাবশালী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: জামাল সেখ বাচ্চু ঝালকাঠি জেলা পুলিশের এ এস আই। ফলে তার প্রশাসনিক ক্ষমতায় বলিয়ান হয়ে সভাপতি স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাবে আমাকে বিভিন্ন মামলায় দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তাই বাধ্য হয়ে পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করি। আমাকে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে ২৫/০৭/২০২২ ইং তারিখে তারা মুসল্লিদের না জানিয়ে বাড়িতে বসে মসজিদ কমিটির নামে একটি পকেট কমিটি করে সেখানে ঝালকাঠি জেলা পুলিশের এ এস আই মো: জামাল সেখ বাচ্চু কে সাধারণ সম্পাদক করে প্রশাসনের ক্ষমতা ব্যবহারের জন্য। আদালতে মামলা করায় তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এলাকায় ব্যবসা করতে দিবে না বিভিন্ন ভাবে ঝামেলা করবে, কারনে অশারনে মারধর করবে বলে সরাসরি হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয় রফিকুল সরদার, নাসির শেখ এবং মুছা শেখ তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।


আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দিন আনি দিন খাই, আমাকে তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে এবং অন্যায় ভাবে মারধর করবে বলে হুমকি দিয়েছে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং পিরোজপুরের প্রশাসনের কাছে আশ্রয় চাই।



সংবাদ সম্মেলনে এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় বজলুর রহমান সেখ সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



তবে এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিক বার ফোন করা হলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত