সিমানা পিলার পাচারকারী চক্রের ৭ সদস্য আটক

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ০৬:০৫ পিএম, বুধবার, ১৭ আগস্ট ২০২২ | ৩৬২

মোংলায় ৯৯৯’ এ কল পেয়ে জনতার হাত থেকে সিমানা পিলার পাচারকারী প্রত্যারক চক্রের ৭ সদস্যকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার মিঠাখালীর খরখড়িয়া গ্রামের মারুফ মোল্লার বাড়ীর পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সিমানা পিলার, তক্ষক সাপ ও মুল্যবান ধাতব পদার্থ পাচারের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল লোকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। এমনই একটি চক্র মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের একটি প্রতারক চক্র মোংলা উপজেলার মিঠাখালীর খরখড়িয়া গ্রামের মারুফ মোল্লার বাড়ীর পাশে মাটি খুড়তে ছিল। এসময় এলাকাবাসী দেখে তাদের সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসা করতে গেলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা।
পরে এলাকাবাসীরা তাদের ধাওয়া করে বাগেরহাট সদরের কাড়াপাড়া এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের শেখ আঃ করিমের ছেলে আবুল হাসান (৩৪), রামপাল উপজেরার পেড়িখালী গ্রামের মৃত ইলিয়াস গাজীর ছেলে মোঃ জসিম গাজী (২৫), মোংলা উপজেলা চিলা ইউনিয়নের মধ্য হলদিবুনিয়া গ্রামের শেখ কেরামত আলী’র ছেলে মোঃ হযরত আলী, সোনাইলতলা ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামের মৃত্যু আঃ আজিজ শেখ’র ছেলে মোঃ বায়েজিত শেখ (৩৫), মিঠাখালী ইউনিয়নের আকবার আলী শেখ’র ছেলে মোঃ সেকান্দার শেখ (২৫), সোনাখালী গ্রামের সুদাশ মন্ডলের ছেলে রতন মন্ডল (২০) ও মিঠাখালী ইউনিয়নের মাহমুদ শেখ’র ছেলে মোঃ জনি শেখ (২৩)কে আটক করে। এর সাথে থাকা অন্যান্য সদস্যরা দৌড়ে পালিয়ে যায় ফলে তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এসময় উৎসুক জনতা প্রতারক চক্রের ৭ সদস্যকে গণধোলাই দিলে ৯৯৯’ এ কল পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে জনতার হাত থেকে প্রতারক চক্রের এ ৭জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম জানান, পুলিশের প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদের প্রতারণার মুল হোতা মিঠাখালী গ্রামের মেহেদী হাসান তাদের সিমানা পিলার বিক্রির জন্য এখানে এনেছে বলে স্বীকার করেছে আটক আবুল হাসান সহ অন্য পাচারকারীরা। এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে এবং আটককৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় মোংলা থানার এ কর্মকর্তা।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত