শিক্ষার্থীকে দক্ষ মানবিক নাগরিক গড়তে ডিসির আহব্বান

বাগেরহাটে প্রধান শিক্ষকের ১২ দিনের প্রশিক্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০১:২২ এএম, রোববার, ২ এপ্রিল ২০২৩ | ৫৭৩

সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমিক মানবিক, যোগ্যতা সম্পন্ন দক্ষ মানবশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাই নতুন এবং যুগোপযোগী শিক্ষা ক্রমের আওতায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র উপযোগী করতে শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করতে হবে। নতুন পাঠ্যক্রম যথায়থ অনুসরণের মাধ্যমে গাইড বই এবং কোচিং নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী যোগ্য নাগরিক হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের ছেলে-মেয়েদের গড়ে তোলার মহান দায়িত্ব শিক্ষক ও অভিভাবকদের। ’


শনিবার সকালে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আওতায় প্রশিক্ষনের পরিদর্শন কালে প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে মতবিনিময়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান (বিপিএএ) এ কথা কলেন। বাগেরহাট সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ প্রশিক্ষনের সূচনা পর্বে তাঁর সাথে জেলা শিক্ষা অফিসার রতন কৃষ্ণ হাওলাদার, প্রশিক্ষক সাইফুর রহমান, সাজ্জাদ হোসাইন খান, অজয় কুমার সাহা, মো: আসাদুজ্জামান, এম হিশামুল হক, সুধাংশু কুমার পাল, ফয়সাল হোসেন দীপু, শেখর সাহা, প্রদীপ বাহাদুর, ফারহানা আক্তার, ঝিমি মন্ডল, হরিচাঁদ বিশ্বাস ও প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। ৩ ব্যাচে ১২ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে বাগেরহাট জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৭৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান (অধ্যক্ষ/সুপার/প্রধান শিক্ষক) অংশ গ্রহন করছেন বলে জেলা শিক্ষা অফিসার রতন কৃষ্ণ হাওলাদার জানান ।


যান্ত্রিক নয়, জীবনমুখী সানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদে গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান (বিপিএএ) জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মর্যাদা সম্পন্ন উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে সততা এবং আন্তরিকতার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তান হিসেবে যতেœর সাথে নতুন শিক্রাক্রমের আওতায় শিক্ষাদানে মনযোগী হবার আহব্বান জানান।


বাগেরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, নতুন এ শিক্ষাক্রমের আওতায় পাঠ্যপুস্তকের বোঝা ও চাপ কমিয়ে আনন্দময় পড়ালেখার পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। গভীর শিখন ও প্রয়োগে গুরুত্ব প্রদানের পাশাপাশি মুখস্থ নির্ভরতার পরিবর্তে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখনে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাকে জীবনমুখী করতে এ প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আনন্দময় কাজে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে হোম ওয়ার্কের চাপ কমবে। নির্দিষ্ট সময়ে অর্জিত পারদর্শিতার মূল্যায়ন ও সনদপত্র দেওয়া হবে। জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কিত এ শিক্ষা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশপ্রেমিক, উৎপাদনমুখী ও অভিযোজনে সক্ষম। এতে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রসারতা বাড়বে। মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার বোধ জাগ্রত হবে। যা আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শিক্ষার্থীকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী উন্নত মানবিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক হবে।” তবে এ জন্য মিয়মিত মনিটরিং প্রয়োজ বলে তিনি মনে করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত