ভেসে গেছে ঘেরের মাছ, পানিবন্ধি ৩ শতাধিক পরিবার

বাগেরহাটে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১২:০৪ এএম, শনিবার, ৫ আগস্ট ২০২৩ | ৩৬৪

বাগেরহাটে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত

বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে থাকা গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (০৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে ভদ্রপাড়া নামকস্থান থেকে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যায়। মুহুর্তের মধ্যে ভৈরবের পানিতে প্লাবিত হয় ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা গ্রামের অধিকাংশ স্থান। অতিরিক্ত পানিতে ২০ থেকে ২৫টি ঘের ও বেশকিছু পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। তিন গ্রামে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রামরক্ষা বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।


ভদ্রপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ চিংড়ি ঘের মালিক মশিউর রহমান বাদশা বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢোকে। পানিতে তিনটি মাছের ঘের ডুবে আমার ১০ লক্ষ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।

আলমগীর হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টিতে বাড়ির আঙ্গিনায় হাটু পানি জমে রয়েছে। রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। পানিতে পুকুর, বাথরুম, রান্নাঘর, উঠোন, বাগান সব একাকার হয়ে গেছে।


একই এলাকার বৃদ্ধা হায়াতুন্নেছা বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, নদীর পানি ঠেকানোর জন্য কোন বেরিবাঁধ নেই। এলাকাবাসী মিলে ছোট বাঁধ দিয়ে কোনমতে বসবাস করছি। জোয়ারের পানিতে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সব জায়গাতে পানি, আমাদের দূর্ভোগ কোনভাবে কমছে না। বাঁধ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এরকম মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। দূর্ভোগ লাঘবের জন্য ভদ্রপাড়া এলাকায় একটি বেরিবাঁধ দেওয়ার দাবি জানান এই নারী।


এদিকে ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা ছাড়াও সদরন উপজেলার হাড়িখালি, মাঝিডাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী, বহরবুনিয়া, সানকিভাঙ্গা, খাওলিয়া, গাবতলা, মোংলার জয়মনির ঘোলসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় সহগ্রাধিক পরিবার পানিবন্ধি রয়েছেন।


পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, দড়াটানা ও ভৈরব নদীর পানি বিপদ সিমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর যেসব এলাকায় বেরিবাঁধ নেই, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। পানি কমে গেলে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে রিং-বেরিবাঁধ নির্মানের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত