মেসার্স হক এন্ড সন্স'র প্রতিনিধিরা জানায়, যমুনা নদীর উপর নির্মানাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে ব্রিজের জন্য স্টিল ষ্টাকচার, পাইপ ও এ্যাঙ্গেল ছাড়াও বিভিন্ন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ রয়েছে জাহাজটিতে। এটি রেলওয়ে সেতুর ৩৮তম চালান। শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৩৮ বানিজ্যিক জাহাজে করর রেল সেতুর ৮৭ হাজার ৫১০ মেট্রিক টন পন্য মোংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে খালাস করা হলো।
রোববার দুপুর ২ টার দিকে মোংলা বন্দরেন ৮নম্বর জেটিতে সেতুর পশ্চিম জোনের মালামাল খালাসের জন্য বন্দর জেটিতে এসে ভিড়ে। এবারের চালানে আমদানীকৃত ১৮১টি প্যাকেজে এক হাজার ৫৫৮. ৬৩০০ মেট্রিকটন মেশিনারিজ পন্য নিয়ে আসে “এমভি কে এম সি মিরাকেল” নামের কোরিয়ান পতাকাবাহী বিদেশী বানিজ্যিক এ জাহাজটি।
গত ২১ আগষ্ট ভিয়েতনামের "হাইফং” বন্দর থেকে এ সকল পন্য বোঝাই করে বাংলাদেশের উদ্দোশ্যে ছেড়ে আসা জাহাজটি সরাসরী ৩ সেপ্টম্বর দুপুরে মোংলা বন্দর জেটিতে এসে পৌছায়। জাহাজটি নৌ-পথ পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছাতে ১৩ দিন সময় লেগেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে ব্রিজের জন্য
আমদানীকৃত এসব মালামাল কাস্টমস সহ অন্যান্য অফিশিয়ালী কার্যক্রম শেষে এদিন দুপুরের পালা থেকে পন্য খালাস শুরু করে খালাসকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বি এন্ড এম রহমান কোম্পানী।
দক্ষ শ্রমিক ও জনবল দিয়ে এসকল পন্য খালাস করতে সময় লাগবে মাত্র ৩/৪ দিন, যা বার্জ যোগে নদী পথে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর উপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর প্রকল্প এলাকায় পশ্চিম জোনে নেয়া হবে বলে জানায় স্থানীয় শিপিং এজেন্ট হক এন্ড সন্স’র প্রতিনিধিরা। আগামী মাসের প্রথম দিকে এর আরো একটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে।
খুলনাস্থ হক এন্ড সন্সের ম্যানেজার অপারেশন শাওকাত হোসেন বলেন, মোংলা বন্দরে অন্যান্য বন্দরের চেয়ে অনেক সুযোগ সুবিদা থাকার কারণে আমরা এ বন্দরকে বেছে নিয়েছি। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর যতগুলো জাহাজ বোঝাই করে মেশিনারিজ পন্য বাংলাদেশে আমদানী করা হয়েছে সব কটি জাহাজের পন্য এ বন্দর দিয়ে খালাস করা হয়েছে। রবিবার ১ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক পন্য আনা হয়েছে তা খালাস করতে মাত্র ৩/৪ দিন সময় লাগতে পারে বলেও জানায় এ শিপিং এজেন্ট কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১৪ আগষ্ট ২৮৪টি প্যাকেজে এক হাজার ৬৯৫. ৯৯৫ মেট্রিক টন পন্য নিয়ে মোংলা বন্দরে পন্য খালাস করেছিল “এমভি এভার ভেনটেজ ” নামের বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ।