রামপালে নিরীহদের ফাঁসাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তির মামলা দায়েরের অভিযোগ

এম, এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ১১:৩৮ পিএম, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৬৮

প্রতিকী ছবি
রামপালে নিছক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত ব্যাক্তি প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীগণ। ভূয়া মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন রামপাল সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন ও গৌরম্ভা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব সরদারসহ এলাকাবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের কালেখারবেড় গ্রামের আতিয়ার রহমানের পুত্র সাবেক ইউপি সদস্য জাফর ইকবাল গত ইংরেজি ২৯ জুন (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০ টায় ফয়লাস্থ জনৈক হালিম পাটোয়ারির বাড়ীতে ঈদের দাওয়াত খেয়ে বাড়ীতে ফিরছিলেন। পথে সুলতানীয়া গ্রামের টুকু ও মান্নানের বাড়ীর সামনে পৌছান। ওই সময় নসিমন ও মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই একই সময় জনৈক এনজিও কর্মী জিল্লুর তার স্ত্রী ও পুত্র ইমনকে নিয়ে মোংলার কর্মস্থল থেকে বাড়ীতে ফিরছিলেন।
জিল্লুর রহমান অভিযোগে জানান, তিনি সড়কের বামপাশ দিয়ে খামঘাটাস্থ তার বাড়ীতে যাওয়ার পথে সুলতানীয়া নামক স্থানে পৌছানো মাত্র উল্টো দিক দিয়ে একটি নসিমন গাড়ী আসছিল। নসিমনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হটাৎ জাফর ইকবাল মেম্বর ওভারটেক করে সামনে গিয়েই নসিমনের সাথে প্রচণ্ড ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে আমার গাড়ীর পিছেন ধাক্কা দেয়। ওই সময় আমি, আমার স্ত্রী ও পুত্র গাড়ী থেকে ছিটকে পড়ি। আমার পা ভেঙ্গে যায় ও আমার পুত্রের মুখের উপরের দাত ভেঙ্গে গিয়ে আহত হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তাকে মামলায় জড়ানোর ভয় দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন জাফর ইকবাল। টাকা না দিলে চাকুরী চ্যূত করার হুমকি দেয়। ভয়ে জাফর ইকবালকে বিকাশের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা দেন।
এ সকল অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্যে সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে গেলে সুলতানীয়া গ্রামের দোকান্দার আনোয়ার, শামীম মোল্লা, মোশারেফ মোল্লা, হেমায়েত মোল্লা, লাইলী বেগম ও জাহানারার বেগম জানান, কুরবানির ঈদের দিন রাতে মোটরসাইকেল ও নসিমনের সাথে সংঘর্ষে সবাই আহত হয়। ওইদিন কারো সাথে কোন মারামারি হয়নি। ওই মামলায় সুলতানীয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের পুত্র বেলাল ব্যাপারী ও আদাঘাট গ্রামের জামাল মুন্সীর পুত্র জাবের মুন্সীকেও আসামী করা হয় বলে তারা শুনেছেন। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় তারা কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না।বেলাল ব্যাপারী ও জাবের জানান, ইকবালের সাথে মামলা মকদ্দমা থাকায় ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এ বিষয়ে আহত জাফর ইকবাল জানান, আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে আহত করেছে। তবে প্রশ্ন করা হয়, তা হলে জিল্লুর রহমান ও তার পুত্র ইমন কি করে আহত হলো? তবে তারাও কি মারপিট অংশ নিয়েছিলেন ? এর কোন সদুত্তর তিনি দেননি।
এ বিষয়ে কথা হয় রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম জানান, এ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি বা প্রতিকার প্রার্থনাও করেননি।
ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের তদন্তসহ প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত