বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো রুপালি ব্যাংক

মোংলা পৌর শহরের একটি তিন তলা ভবনে আগুন

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ১১:১৫ পিএম, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৩

মোংলা পৌর শহরের শাপলা চত্তরের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের এক ঘন্টার চেষ্টায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আগুন লাগার ওই বভনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত্ব মোংলা শাখার রুপলি ব্যাংকটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। আগুন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখও নির্ণয় করতে পারেনী কর্তৃপক্ষ।

মোংলা ফায়ার সার্ভিস জানায়, মোংলার প্রান কেন্দ্র আমার পৌর শহরের শাপরা চত্বরের একটি তিন তলা ভবনে আগুনের খবর পাই। সেখানে গিয়ে দ্রুত চেষ্টা করি আগুন য়িন্ত্রনে আনার। রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে এই আগুনের সুত্রপাত বলে প্রাথমিক নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। এসময় দ্রুত স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে পানি দিয়ে প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

তারা আরো জানায়, শাপলা চত্তরের সেঞ্চুরি ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। প্রথমে রুপালি ব্যাংকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। সেখানে ওই ভবনের নিচ তলায় থাকা সেঞ্চুরি টেইলার্সের শো-রুম, দ্বিতীয় তলায় মোংলা শাখার রুপালী ব্যাংক ও তৃতীয় তলায় ব্যাংকের একটি শাখা ও গারের্মন্স কারখানা রয়েছে। ওই কারখানায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে এই আগুনের ঘটনা ঘটে প্রাথমিক ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস। সেখানে গ্যাস সিলিন্ডার, গামেন্স কারখানার মেশিন ও বেশ কিছু কাপড়েরর পন্য রয়েছে যা পুরে ছাই হয়ে গেছে। তবে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনায় আগুন বেশি ছড়াতে পারেনি। কারখানায় থাকা শ্রমিকরা দ্রুত নেমে পড়ায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। এমনকি ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা রুপালি ব্যাংকও পর্যন্ত আগুন পৌঁছাতে না পারায় অল্পের জন্য রক্ষা পায় ব্যাংটি। আগুন এখন সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রনে তবে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা প্রাথমি নির্ধারন করতে পারেনী ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেড়ি করে আসায় বেশি পুরেছে, তারা খবর পাওয়ার পর পরই আসছে এতোটা পুরতো না বলে বহু অভিযোগ ও ক্ষোভ স্থনীয়দের মাঝে।


রুপালি ব্যাংক মোংলা পোর্ট শাখার ব্যবস্থাপক সুমন কুমার রায় বলেন, আগুনের খবর পেয়ে গ্রাহকদের টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিরাপদে দ্রুত সরিয়ে ফেলি। তাছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় অল্পের জন্য আমরা বেঁচে যাই। আগুন লাগার মূহুর্তে কর্মকর্তাসহ ১০ জন দায়িত্বে সর্তক আবস্তায় ছিলেন। তাদেরও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানান তিনি।


মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম সহ তিনি হাজির হয় এবং উৎসুক জনতাকে সড়িয়ে ফায়ার সার্ভিস যাতে পানি দিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে জন্য সহায়তা করছে মোংলা থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে উপজেলা, পৌরসভা, থানা ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের সহায়তায় আজ একটি বড় ধরনের দুর্ঘনা থেকে রক্ষা পেলো মোংলার ব্যাবসায়ীরা সহ সেই বভনে অবস্থিত রাষ্ট্রায়ত রুপালী ব্যাংক।


ফায়ার সার্ভিস বাগেরহাট সার্কেল-২ এর পরিদর্শক মোঃ কাইয়ুমজ্জামান বলেন, প্রথমে রুপালি ব্যাংকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। পরে দেখি ব্যাংকের তৃতীয় তলায় একটি টেইলর্সের কারখানায় আগুন জ্বলছে। স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে সেই আগুন এক ঘন্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনি। বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে রুপালী ব্যাংক।



মোংলা পৌর শহরের গত ২০ বছর বড় ধরনের কোন আগুনের ঘটনা ঘটেনী। তবে আগুনের লেলিহা ছড়িয়ে পরলে বড় ধরনা দুর্ঘটনার সম্মুখিণ হতো পৌর শহরের ব্যাবসায়ীরা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত