দোকানদারদের দূরছাঁই ব্যবহার

বাবা প্রচন্ড গরম ও মানুষের চাপে জীবনটা ছটফট করছে !

এস এস সাগর

আপডেট : ০৯:৩১ পিএম, রোববার, ১২ আগস্ট ২০১৮ | ১২৪২

‘কি বলব বাবা ? সেই সকালে এসেছি। এখন বাজে বিকেল ৪ টা। তীর্থের কাকের মত বসে আছি। এভাবে গত ২ দিন ধরে ঘুরছি। তাও ভাতার পনের’শ টাকা পাইনি। কবে পাবো তা ওরা বলছে না। আজকের এই ভ্যাবসা গরম ও মানুষের চাপে জীবনটা ছটফট করছে। একটু পানির জন্য জীবন যায় যায় অবস্থা। তারমধ্যে আবার মার্কেটের দোকানদারদের দূরছাঁই ব্যবহার। বল বাবা এরে কি বাচা কয়।’- রোববার বিকেলে বাগেরহাটের চিতলমারী সোনালী ব্যাংকের নিচতলায় বসে এভাবে বড় কষ্ট নিয়ে বুক চেপেচেপে কথা গুলো বলছিলেন অশীতিপর বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ হালদার (৯০)।


তিনি আরও জানান, সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে সরকারী ভাবে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে পান। এ টাকা প্রতি তিন মাস পরপর চিতলমারী সোনালী ব্যাংক থেকে তুলতে হয়। তার গ্রামের বাড়ি আরুলিয়া চিতলমারী উপজেলা সদর থেকে কমপে ১৫ কিলোমিটার দুরে। সেখান থেকে ব্যাংকে আসা-যাওয়ায় প্রতিবারে ২০০ টাকা খরচ হয়। গত বৃহস্পতি ও রবিবার থেকে তিনি ভাতার এক হাজার ৫০০ টাকার জন্য সকালে এসে ব্যাংকের সিড়ির গোড়ায় বসে আবার বিকেলে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু টাকা পাচ্ছে না।


অনুরুপ জানালেন ব্যাংকে টাকা নিতে আসা বয়সের ভারে ন্যূয়েপড়া গোড়ানালুয়া গ্রামের নীল রতন বাড়ৈ (৮০) ও একই গ্রামের ভগপতি মজুমদার (৮২)। তারা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে চিতলমারী সোনালী ব্যাংক শাখায় বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধি ভাতা নিতে আসা মানুষজন চরম হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।


এ ব্যাপরে চিতলমারী সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ হুমাউন কবির বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, গ্রাহক সংখ্যা বেশী এবং জনবল কম হওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিবন্ধিদের ভাতার চিতলমারী সদর ইউনিয়নে চাহিদা রয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সমাজসেবা অফিস থেকে চেক পাঠান হয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত