বঙ্গোপসাগরে ১২ জেলে নিয়ে ট্রলার ডুবি

সুন্দরবন উপকূলে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল গভীর বঙ্গোপসাগরে একটি বানিজ্যিক জাহাজের সাথে সংঘর্ষে ডুবে যাওয়া একটি ফিশিং ট্রলারের জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে নৌঘাঁটির ৩টি যুদ্ধজাহাজ ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।

সোমবার ভোরে ১২ জেলেসহ ফিশিং ট্রলারটি ডুবির পর শুরু নৌবাহিনীর এই উদ্ধার অভিযানে বিকাল পর্যন্ত ৯ জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ থাকা ৩ জেলেকে উদ্ধারে নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজগুলোর পাশাপাশি বিকালে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বঙ্গোপসাগরের অভিযানে যোগ দিয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি বরগুনার পাথরঘাটা এলাকার মালিক রিয়াজ খা’র। উদ্ধার হওয়া ৯ জেলে ও এখনো নিঁেখাজ ৩ জেলের বাড়ী পাথরঘাটা উপজেলায় বলে দূবলা ফিসারম্যান গ্রুপ ও উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতি নিশ্চিত করেছেন।

ডুবে যাওয়া ফিশিং ট্রলারটির মালিক রিয়াজ খা ও মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সন্ধ্যায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সোমবার ভোর ৫টার দিকে সুন্দরবন উপকূলে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল গভীর বঙ্গোপসাগরে একটি বানিজ্যিক জাহাজের সাথে সংঘর্ষের পর ১২জন জেলে নিয়ে ডুবে যায় স্বাধীনতা-৩ নামের একটি ফিশিং ট্রলার। গভীর সমুদ্রে ১২ জেলেসহ এই ফিশিং ট্রলার ডুবির খবর পেয়ে সকালে বিএনএস মোংলা নৌঘাঁটি থেকে ১৪০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে দূর্ঘটনাস্থলে রওনা দেয় নৌবাহিনীর ৩টি যুদ্ধজাহাজ বিএনএস তুরাগ, বিএনএস মেঘনা ও বিএনএস দূর্গম।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে নৌবাহিনীর ৩টি যুদ্ধজাহাজ শুরু করে উদ্ধার অভিযান। বিকাল পর্যন্ত স্বাধীনতা-৩ নামের ফিশিং ট্রলারটিতে থাকা ১২ জেলের মধ্যে ৯ জনকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। বঙ্গোপসাগরে চলা এই উদ্ধার অভিযানে বিকেলে যোগ দিয়েছে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। এখনও নিখোঁজ থাকা ৩ জেলের সন্ধানে জল ও আকাশ পথে তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে নৌঘাঁটির ৩টি যুদ্ধজাহাজ ও বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।