একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট - ১ আসন

বিএনপির প্রার্থী হতে চান মনজুর মোর্শেদ স্বপন

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৯:৫৫ পিএম, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ | ১৮৭৪

মনজুর মোর্শেদ স্বপন

ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী (বাগেরহাট-১) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে চান বাগেরহাট জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা মনজুর মোর্শেদ স্বপন। তিনি ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র রাজনীতি করতেন। ১৯৮৯ সালের কোন এক সময় ঘটনাচক্রে দেশনায়ক তারেক রহমানের সাথে পরিচয়ের সূত্রধরে বিএনপিতে যোগদান করেন বলে আলাপকালে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান।


১৯৯০ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সাক্রিয় ভুমিকা রাখায় জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলে খুলনা বিভাগের পাশাপাশি বাগেরহাটের নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ শুরু করেন।

মনজুর মোর্শেদ স্বপন

বর্তমান জেলা বিএনপির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য মনজুর মোর্শেদ স্বপন বিগত নির্বাচনে দলীয় নমিনেশন চেয়েছিলেন এবারও তিনি নমিনেশন চাইবেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি ব্যানার ফেস্টুনসহ নানা প্রচার প্রচারনা চালিয়ে আসছেন। মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কাবে সহযোগিতা করে আসছেন বলেও জানান।

তিনি বলেন, বিগত ১৯৯৬ সালে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় দেশনায়ক তারেক রহমানের সাথে দক্ষতার সাথে কাজ করেছি। ২০০১ সালের নির্বাচনে দলীয় নমিনেশন চেয়ে দলের কাছে আবেদন করেছিলাম। তিনি আরো বলেন, সেই সময় দলীয় চেয়ারপার্সন আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলায় সেই থেকে পুরাদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মনজুর মোর্শেদ স্বপন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী) আসনে তিন উপজেলার মধ্যে চিতলমারী হিন্দু সম্প্রদায় প্রধান এলাকা। এখানে এমন এক সময় ছিল বিএনপির কমিটি করার মত লোক ছিল না। আমার প্রচেষ্টায় বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী যদিও অরাজনৈতিক লোক জেলায় নেতৃত্বে আশায় সেইধারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতা বলেন, অতীতে যারা নির্বাচন করেছে তারা এই আসন দলকে উপহার দিতে পারেনি ও পারবেনা। ইতিপূর্বে যারা নির্বাচন করেছে তারা নিজেদের পকেট ভারী করা ও ভবিষ্যতের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকে কেউবা আওয়ামী লীগের কাছে নমিনেশন বিক্রি করে নেতা কর্মীদের ফেলে পালায়। মোল্লাহাটের একজন নেতা জানান, বিভিন্ন দল থেকে আশা ডিগবাজী দেওয়া একজন নেতা আছে নির্বাচনের সময় এলে দৌড়ঝাপ শুরু করে অথচ আন্দোলনের সময় প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে ঢাকায় পালিয়েছে।

মনজুর মোর্শেদ স্বপন

দলের মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা মনে করেন বাগেরহাট- ১ আসনে বিএনপি প্রার্থীর পুরো প্রতিদ্বন্দীতা করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে চিতলমারী উপজেলার স্থানীয় ত্যাগী, কর্মীবান্ধব নেতা মনজুর মোর্শেদ স্বপনকে নমিনেশন দিতে হবে। এ প্রসংগে তারা আরো বলেন, ফকিরহাটে বিএনপির ১৫/২০ হাজার ভোট বেশী, মোল্লাহাট ১/২ হাজার ভোটে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকে। চিতলমারী ৩০/৩৫ হাজারেরও বেশী ভোটে আওয়ামী লীগ বেশী পায়।

২০০১ সালের নির্বাচনে মনজুর মোর্শেদ স্বপন এর নেতৃত্বে চিতলমারী উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার ভোট পায় বিএনপি যার কৃতিত্ব মনজুর মোর্শেদ স্বপন এর।

মনজুর মোর্শেদ স্বপন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমি দলীয় নমিনেশন পাইলে চিতলমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমান সমান ভোট পাবো। এই ভোটই আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আশা রাখি। তিনি আরো বলেন, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এড. কালিদাশ বড়াল খুন হওয়ার পরে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে আমি দাড়াই। তাদের সকল কর্মকান্ডে আমাকে ডাকে এবং আমিও তাদের ডাকে সাড়া দেই।

তিনি বলেন, সব বিবেচনায় নমিনেশন পাইলে অবশ্যই দলকে আমি এই আসন উপহার দিতে পারবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত