দয়া পূর্বক ভেবে দেখবেন কি?

অর্থ পাচার ও দেশ দ্রোহীতার অন্য এক রুপ !

গাজী ইলিয়াছ

আপডেট : ১০:৩৫ এএম, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯ | ২০১২

আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা অনেক কষ্ট ও শ্রমের বিনিময়ে পরিবার পরিজন থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে এবং তা দ্রুত দেশে প্রেরন করে। কারণ হলো তাঁদের পরিবার পরিজন দেশে থাকে , তাঁরা দেশে থাকতে চায়, দেশে আসতে চায় এবং সর্বোপরি দেশকে তাঁরা দারুণ ভালোবাসে। তাঁরা দেশে বাড়ি গাড়ি জমি কিনতে চায়। মাননীয় আপা, পাশাপাশি অন্য এক চিত্র দেশকে দ্রুত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনেকরি। তাঁরা হলেন যাঁরা দেশে থেকে অসম্ভব রকমের অর্থ সামর্থ্য অর্জন করে পরিবার পরিজন বিদেশে পার করে দেন। তাঁরা দেশ থেকে প্রচুর অর্থ বিভিন্নভাবে পাচার করছে। যেহেতু পরিবার পরিজন সেখানে অর্থ প্রেরনের ঝোঁকও তাঁদের সেদিকে।

আজ তাঁরা দেশে বাড়ি গাড়ি কিনা শেষ করে বিদেশেই গাড়ি বাড়ি কিনছে। টাকা প্রেরিত হচ্ছে আমি আপনার প্রিয় দেশ থেকে। আজ প্রায়ই শুনি ব্যাংক সমুহে লিকুইডিটি ক্রাইসিস। এ সেক্টরে চাকরি করে বলে অনেকটা আঁচ করতে পারি আর বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন তো আছেই। তাঁরা আমার নিকট জন হলেও আমি তাঁদের দেশদ্রোহী মনেকরি। ছেলেমেয়েদের অধিক বেতনের স্কুলে পড়িয়ে আবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশে পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেন। খরচ যায় অর্থ যায় দেশ থেকে। প্রশ্ন হলো কয়জন দেশে ফিরেন? কয়জন ঐ দেশে টাকা আয় করে প্রবাসী শ্রমিক ভাইদের মতো দেশে বাড়ি ঘর করেন বা অর্থ প্রেরন করেন? আপনিই বলুন তাঁরা কি দেশপ্রেমিক?

আজ অনেক মেধাবী ছেলেমেয়েরাও দেশ দ্রোহীতার কাতারে। তাঁরা এ দেশে পড়ে এ দেশ থেকে স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়তে গিয়ে দেশে আর ফিরে আসে না? দেশ তাঁদের এতো ভালোবাসলেও তাঁরা কি দেশকে ভালোবাসছে? কি দিল তাঁরা দেশকে? প্রতিষ্ঠিত আমলা পরিবার, প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবার, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক পরিবার ও বিদেশে যাওয়া মেধাবী ছাত্র ছাত্রীর পরিবার পরিজন এবং তাঁদের নিকট আত্মীয়দের খোঁজ নিয়ে দেখুন তাঁদের চলমান জমাকৃত অর্থের বিচরণ কোথায়? প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা আনছেন আর ঊনারা অনেকেই নিয়ে যাচ্ছেন বা বিদেশে পাচার করছেন বিভিন্ন কৌশলে । যাঁরা এভাবে পাচার করছেন তাঁদের আইনের শক্ত বাঁধন দিয়ে বাঁধতে না পারলে দেশের জন্য অশনিসংকেতই বয়ে আনছে বলে মনেকরি।

দেশে যাঁরা ব্যবসা করছেন, রাজনীতি করছেন, বড়ো চাকরি করেছেন তাঁরা কেন পরিবার পরিজন বিদেশে পাঠিয়ে দেন তা আজ ভেবেই দেখতে হবে। এটা খুবই সত্য শুধুমাত্র এ কারণেই প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশ থেকে পাচার হয়। এছাড়াও, তাঁদের পরিবার পরিজন বছরে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক প্রমোদ ভ্রমণও করে থাকেন। এ জায়গায় লাগাম ঠেনে না ধরলে দেশের অর্থনৈতিক পিলার হেলে পড়বে বলে আমার অনুমানে ধরা পড়েছে। মাননীয় আপা তাই বলছি, কারা সত্যিকারের দেশ প্রেমিক এবং কারা দেশ দ্রোহী কাজ করছে তাঁদের চিহ্নিত করে যথাক্রমে পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া আজ আশু প্রয়োজন! অর্থ পাচার ও দেশ দ্রোহীতার অন্য এক রুপ! মাননীয় আপা দয়াপূর্বক ভেবে দেখবেন কি?

মাননীয় আপা তাই বলছি, কারা সত্যিকারের দেশ প্রেমিক এবং কারা দেশ দ্রোহী কাজ করছে তাঁদের চিহ্নিত করে যথাক্রমে পুরস্কার ও তিরস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া আজ আশু প্রয়োজন!

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত