বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ঘূর্ণিঝড় ফণীর বাগেরহাট অতিক্রম

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:২৭ পিএম, শনিবার, ৪ মে ২০১৯ | ৫৬০

বড় ধরনের কোন ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়াই ঘূর্ণিঝড় ফণী বাগেরহাট অতিক্রম করেছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করলেও শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে শুধু ঝড়ো বাতাস বইছে বাগেরহাটে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হালকা বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হলে জেলার উপকূল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নেন।

শুক্রবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। শনিবার (৪ মে) সকাল থেকে শুধু ঝড়ো বাতাস বইতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে থাকা উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা নিজ নিজ বাড়ীতে ফিরে যান।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর মূল আঘাত থেকে রক্ষা পেলেও সকাল পর্যন্ত দমকা বাতাসে বাগেরহাটের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে জেলার মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সাইক্লোন শেল্টার গুলোতে আশ্রয় নেওয়া লোকজনদের মাঝে চিড়া, গুর, স্যালাইন, মোমবাতি ও সুপেয় পানিসহ বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জহিরুল ইসলাম এর সার্বিক তত্ববধায়নে এসব ত্রান সামগ্রী বিতরন করা হয়।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট জুড়ে শুক্রবার রাতে ঝোড়ো বাতাস বৃষ্টিপাত হলেও জেলার কোথাও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় আগে থেকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া ছিল। চিড়া-গুর বিতরন নিয়ে জেলার কোথায় কোন সমস্য হয়নি। উপকুলের সাইক্লোন শেল্টার গুলোতে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মাঝে ত্রানের বিভিন্ন সামগ্রী সুষ্ট ভাবে বিতরন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত