মানবতা ও মায়ার জাগরণ ঘটানো একান্ত জরুরী!

গাজী ইলিয়াছ

আপডেট : ০৫:১৬ পিএম, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ | ৬৩৫

মানুষের মধ্যে মায়া ও মানবতার অনুপ্রেরণা জাগাতে রাষ্ট্রীয় উদ্যেগ ও বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত। এ জাগরণ মানুষের লোভ ও অপব্যয়কে হত্যা করে দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে শিখায়! আজ এ বিনিয়োগ বা এ উদ্যেগ নেই বললেই চলে। বড় বড় ডিগ্রি আমরা অর্জন করি কিন্তু এ শিক্ষার কোন সিলেবাস সার্বজনীনভাবে আছে বলে মনেকরি না। অথচ এ শিক্ষার খুব প্রয়োজন। আজ এ শিক্ষা নেই বলে বৈষম্য ও মানবিক যন্ত্রণা সহজেই দৃশ্যমান হয়ে আমাদের পাশাপাশি বসবাস করছে যাতে আমাদের বিন্দু মাত্র অনুশোচনা নেই। ধর্ম জন্মতান্ত্রিকভাবে আমরা পাই। প্রত্যেক ধর্মেরই মূলকথা হলো মানবতা। আজ তা কি আমরা সেভাবে মেনে চলছি? ধর্মীয় মূল থীম থেকে আমরা সকলেই আজ বিচ্যুত। বিচ্যুতির এ জায়গাতেই আজ জাগরণ প্রয়োজন।

এ জাগরণের জন্য সিলবাস প্রয়োজন বিনিয়োগ প্রয়োজন উদ্যেগ গ্রহণ প্রয়োজন। যা রাষ্ট্রের গুরু দায়িত্ব মনেকরি। মানুষের করুন কাহিনী তুলে ধরা সেগুলোর মানবিক সলিউশন কিভাবে করা যায় সেগুলো দেখানো শিখানো আজ একান্ত প্রয়োজন। তরুণ তরুণী যুবক যুবতীদের এ ট্রেনিং দেয়া অনেক প্রয়োজন মনেকরি। তাদের শিখাতে হবে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে মানবতার রক্ত ক্ষরন এরকম হতে পারে না। মানবতার এ বোধ প্রকৃতির সাথে দারুণভাবে সম্পর্কিত। এ আগ্রহ এ কর্ম আপনার আমার দূর্ঘটনা দুর্যোগ কে হ্রাস করবে। প্রকৃতির সমর্থন পেতে হলে প্রানের চলমান নীরব যন্ত্রণা হ্রাসের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

আর এ বিনিয়োগ শুধু রাষ্ট্র একা করবে না মানুষের মধ্যে মানবতা ও মায়ার জাগরণ ঘটাতে পারলে মানুষই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ কাজ করবে। তখনই একমাত্র দেশে শান্তি বিরাজ করবে বলে দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। বর্তমান চাল চলন যেভাবে চলছে এভাবে চলতে থাকলে সংঘাত, দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়তেই থাকবে এবং শুধুমাত্র এ কারনেই এ পৃথিবী দ্রুততার সহিত ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ পৃথিবীর বয়স আমাদের হাতেই নিয়ন্ত্রিত বলে মনেকরি। প্রাণীর যন্ত্রণা হ্রাসের বিষয়ে সার্বক্ষণিক সচেষ্ট থাকলে বিশ্বের বয়স বাড়তে থাকবে নতুবা প্রকৃতির সীমাহীন বিক্ষুব্ধ আচরণ এর মধ্যে তার বিনাশ ঘটবে। এভাবে চলতে থাকলে যা খুব নিকটেই। তাই বলছি বিশ্ব বা রাষ্ট্রের উচিত মায়া ও মানবিক জাগরণে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং এর জন্য সদা সচেষ্ট থাকা!

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত