বিজয়ের ৪৮বছর

জাতির পতাকা এখনো খামচে আছে সেই পুরনো শকুন!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৪:৫০ পিএম, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১১২৮

‘জাতির পতাকা খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’ কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর সেই কবিতার লাইনটি মনে পড়ে যায় জাতীয় পতাকার অবমাননা দেখে। বিজয়ের ৪৮বছর পরও যেনো শকুনের দৃষ্টি পড়ে আছে লাখো শহীদের রক্তে ভেজা সেই পতাকায়।


সোমবার মহান বিজয় দিবসে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরে রায়েন্দা বাজারসহ বিভন্ন জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দেখা যায় জাতীয় পতাকা অবমাননার চিত্র। কঞ্চির মাথায়, ঘরের খুঁটিতে রংচটা, কুড়মুড়ে আর বেমাপের পতাকা টাঙানো রয়েছে। বিজয় দিবসে কোথাও কোথাও দেখা গেছে শোকের পতাকা। এখনো অনেকেই পতাকার সঠিক মাপ জানেনা। কোন দিবসে কিভাবে টাঙাতে হয় তাও জানা নেই তাদের। সচেতনরাও এনিয়ে ভাবেন না।


এবার বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে তদারকি কমিটি করা হলেও তাদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।


শিক্ষক ও সাংবাদিক নজরুল ইসলাম আকনসহ সচেতন অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বিজয় দিবসের দিনে একটি স্বাধীন দেশের পতাকার এমন দুরাবস্থা দেখে হতাশ হতে হয়। এটা পতাকাকে অবমাননার সামিল। যারা এখনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে পতাকার অবমাননা করছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

যুদ্ধকালিন ইয়াং অফিসার ও স্টুডেন্ট ক্যাম্প কামন্ডার হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, পতাকার অবমাননা চোখে পড়ছে কষ্ট লাগে। সবকিছু বলে শেখানো যায়না, এটা চেতনার বিষয়। তাছাড়া সচেতনতারও অভাব রয়েছে অনেকের।

এব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, যারা পতাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত