হাইকোর্টের আদেশ

১৪ বছর পর শরনখোলার কলেজ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম পূর্ণবহাল

স্টাফ রির্পোটার

আপডেট : ০৬:৪৯ পিএম, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২০ | ৩২০২

বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার মাতৃভাষা ডিগ্রী কলেজের জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে কলেজ কমিটির পক্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সী কর্তৃক আনিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামকে তার স্বপদে পুনঃবহাল এর আদেশ দেন।বোর্ডের আদেশ অমান্য করে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সী বোর্ডের আদেশের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৩১/২০১০নং মামলা দায়ের করেন এবং ০৫/০৭/২০১১ইং তারিখ ও ১০/০৭/২০১১ইং তারিখে রায় ও ডিগ্রী হাসিল করেন।

উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বাগেরহাট জেলা জজ আদালতে দেঃ ১২৪/১১নং আপীল করেন। উক্ত আপিলের প্রেক্ষিতে বাগেরহাট জেলা যুগ্ম জজ-১ম আদালত ৩০/১১/২০১৬ইং তারিখ এবং ০৫/০১/২০১৭ইং তারিখে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম এর পক্ষে রায় ও ডিগ্রী প্রদান করেন।

একারনে বাদী অত্র রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ৫৬৪/১৭নং আপীল করেন,এবং ওই রায়ের কার্যক্রম ২০/০২/২০১৭ তারিখে ১বছরের জন্য স্থগিত করেন।উক্ত বিষয়ে হাইকোর্টের চুড়ান্ত বিচারে বাদী কর্তৃক উক্ত স্থগিত আদেশ বাতিল পূর্বক যশোর শিক্ষা বোর্ডের ১৭/০২/২০১০ইং তারিখের আদেশ ও ৩০/১১/২০১৬ইং এবং ০৫/০১/২০১৭ইং তারিখের বাগেরহাট সাব জজ ১ম আদালতের রায় ও ডিগ্রী বহাল রাখেন। বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাস এর একক বেঞ্চ বুধবার (১৫-১০-২০২০) এ আদেশ দেন। যার কারনে জাহাঙ্গীর হোসেন মুন্সী কর্তৃক দায়েরকৃত সহকারী জজ আদালতের দেঃ ৩১/২০১০নং মোকদ্দমার রায় ও ডিগ্রী রদ ও রহিত হয়।

এবং মামলাটি খারিজ হয়। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, যাতে আর কোনোদিন কলেজে যেতে না পারি সেজন্য পরিকল্পিত ভাবে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানীমূলক অনেকগুলো ফৌজদারী মামলা দিয়ে প্রায় ১৪বছর যাবত আমাকে সকল দিক থেকে সর্বশান্ত করেছেন কমিটির প্রভাবশালী ধনাট্য ব্যক্তি মাওলানা মুঃ মতিউর রহমান মতিন ও তার লোকজন।

তিনি আরো বলেন, ২০০৩ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে কলেজের ক্ষমতা দখল করেন ওই চক্রটি।তখন ক্ষমতায় ছিলেন ৪দলীয় ঐক্যজোট সরকারের জামায়াতের এমপি মুফতি মাওলানা আব্দুস সত্তার আকন। মাও.মতিন ছিলেন ১৯৭১ সালের বিতর্কীত ব্যক্তি।অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হলেন তার রাজনীতির শিকার। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান।

একারনেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মতিউর রহমান মতিন তাকে কলেজ থেকে সরিয়ে দিয়ে কলেজে তার আসন পাকাপোক্ত করেছেন। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজে থাকলে মতিউর রহমান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হতে পারবেন না। কারন কলেজের মূল প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের আপন বড় মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন তিনি যশোর শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান সহ আন্ত-শিক্ষা বোর্ড বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত