খুলনা-মংলা এন-৭ সড়কের

কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড গোল চত্তর এখন মরণ ফাঁদ

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ১১:২৮ পিএম, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০ | ৫৯৩

খুলনা-মংলা এন-৭ ও বাগেরহাট মহা-সড়কের গোল চত্তরকে ঘিরে বড়বড় গর্ত ও ট্যাম হওয়ার কারনে তা এখন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। আর এই বড় বড় গর্ত ও ট্যামের কারনে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। অতিদ্রুত সড়কের তিন পার্শ্বে পূনঃ মেরামত করা না হলে গর্ত ও ট্যাম এর কারনে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।

জানা গেছে, খুলনা-মংলা এন-৭ ও বাগেরহাট মহা-সড়কের কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল মোড় হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। খুলনা হতে ঢাকা চট্টগ্রাম রাজশাহী মাদারীপুর শরিয়তপুর মংলা ও বাগেরহাট সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের সময় এই প্রধান মোড়ের উপর দিয়ে যানবাহন চালকরা যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের তিন পার্শ্বে এমন অবস্থা যা নিজে চোখে না দেখলে বিশ^াস করা যাবে না। বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশের্^ অর্থাৎ বাগেরহাট সড়কে প্রবেশপথে ১টি ব্রীজ নির্মান করা হয়েছে। যে ব্রীজের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের্^ পিচ ও কার্পেটিং উঠে বড়বড় ট্যাম এবং গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনুরুপ খুলনা ও মংলা সড়কে প্রবেশের মাথায় একই ধরনের গর্ত ও ট্যাম হয়েছে। এই গর্ত ও ট্যাম যানবাহন চালক ও পথচারীদের জন্য বিপদ জনক হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় পরিবহন কাউন্টারম্যান রাজু আহম্মেদ, আসাদুজ্জামন, মোঃ শামীম আহম্মেদ ও আব্দুল হালিম সহ একাধিক ব্যাক্তিরা জানান, গুরুত্বর্পর্ণ মোড়ের উপর অর্ধশর্তাধিক স্থানে পিচ ও কার্পেটিং উঠে বড়বড় গর্ত ও ট্যামের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিনের বেলায় তেমন একটা দুর্ঘটনা না ঘটলেও রাত্রিকালিন সময়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।

দিনের বেলায় যদি ১০টি দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে রাত্রিকালিন সময়ে ২০টি অধিক দুর্ঘটনা ঘটে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ মাঝে মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে গোল চত্তরের চারপাশের্^ পূনঃ সংস্কার করলেও তা স্থায়ীত্ব হচ্ছে না। অতিদ্রুত সড়কের তিন পার্শ্বে পূনঃ মেরামত করা না হলে গর্ত ও ট্যাম এর কারনে বড় ধরনের র্দুঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য সড়ক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত