ফকিরহাটে বিভিন্ন ফলের চাষ করে চাষী স্বাবলম্বী

পি কে অলোক,ফকিরহাট

আপডেট : ০৮:১৮ পিএম, শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০২০ | ৯৯৯

ফকিরহাটে কাজি মিরাজুল ইসলাম নামের একজন শিক্ষিক বেকার যুবক থাই-পেয়ারা কমলা মালটা কুল বোরুই ও ডালিম সহ বিভিন্ন ফলের চাষ করে এখন বেশ স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাঁর মত একজন শিক্ষিত বেকার যুবক হয়েও ঘরে বসে না থেকে কর্মসংস্থান স্বরুপ এধরনের ফলের বাগানের চাষ করায় এ উপজেলা কৃষিতে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর দেখাদেখী শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি চাকুরীর পিছনে না পড়ে থেকে এধরনের ফলের চাষ করতো তাহলে বেকারের সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসতো।


জানা গেছে, পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত কাজিপাড়া গ্রামের মোঃ শাহাজাহান কাজির পুত্র কাজি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ লেখাপাড়ার পাশাপাশি বাড়িতে কৃষি কাজ করে জিবিকা নির্বাহ করতেন। তার বড় ভাই বিজিবি-তে চাকুরী করেন। সেই সুবাদে মিরাজ বড় ভায়ের ক্যাম্পে বেড়াতে গিয়ে দেখতে পান সেখানে থাই-পেয়ারার চাষ হয়েছে। সেই সময় হতে তাঁর মনে সাধ জাগে বিভিন্ন ফল বাগান করবেন। সেই সাধ হতে তিনি ঝিনাইদাহ জেলা সদর হতে মাত্র ২৫০টি থাই-পেয়ারার চারা এনে ১০কাটা জমিতে চাষ শুরু করেন। প্রথম বছর চারা ছোট থাকায় পেয়ারার মধ্যে টমেটা পালং লাল শাক সহ নানা প্রকার সবজির চাষ শুরু করেন। দ্বীতিয় বছর ১২মাসের এই থাই-পেয়ারায় ভাল ফলনও পেয়েছেন। ৫০টাকা কেজি দরে থাই-পেয়ার ১২মাস বিক্রয় করে বেশ লাভবান হয়েছেন। ফলের বাগানে তার ভাই কাজি হুসাইনও দেখা শুনা করেন। তিনি এইচএসসি পাশ করে চাকুরীর সন্ধ্যানে না ঘুরে ফলের বাগানে দেখা শুনার কাজ করেন। ১০কাঠা জমিতে থাই-পেয়ারা এবং অন্যা ১০কাঠা জমিতে কমলা মালটা কুল বরোরুই ডালিম সহ বিভিন্ন ফল ও সবজির চাষ শুরু করেন। ফলের বাগানের মধ্যে শীত মৌসুমের টমেটোর চাষও করেছেন। ফল চাষি কাজি মিরাজুল ইসলাম এইচএসসি পাশ করে ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত ও তার ভাই কাজি হুসাইন এইচএসসি পাশ করেছেন।


ফল চাষি কাজি মিরাজুল ইসলাম ও কাজি হুসাইন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন তিন বছর ধরে তাঁরা দুই ভাইয়ে ফল ও সবজি চাষ করলেও উপজেলা কৃষি অফিস হতে কোন প্রকার প্রশিক্ষন পরামর্শ বা সহযোগীতা করা হয়নী। শুধু নিজেদের মেধা খাটিয়ে উপরোক্ত ফলের বাগান ও সবজির চাষ করেছেন। তাদের মতে চাকুরীর পিছনে না ঘুরে নিজের বা অন্যের জমি বরর্গা নিয়ে যে কোন কাজ করলে চাকুরীর প্রয়োজন হয় না। শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকুরীর পিছনে না ঘুরে এধরনের কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।


এব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বিপুল কুমার পাল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন আমি তার ফল বাগানে কয়েকবার গিয়েছি। কিন্তু তাঁকে পাইনী। যে কারনে তাঁকে কোন প্রশিক্ষন পরামর্শ বা সহযোগীতা করা সম্বব হয়নী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত