সুন্দরবনের ৩ জলদস্যু বাহিনীর আত্নসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৮:০৭ পিএম, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৮ | ১১৩৫

সুন্দরবনের জলদস্যু বড় ভাই, ভাই ভাই ও সুমন বাহিনীর প্রধানসহ ৩৮ সদস্য বরিশালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্নসমর্পণ করেছে।


এ সময় ৩৮টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২ হাজার ৯৬৯ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দিয়েছে তারা। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় বরিশালের র‌্যাব-৮ এর কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্নসমর্পণ করে ওই জলদস্যুরা।

আত্নসমর্পণকারীদের মধ্যে বড় ভাই বাহিনীর ১৮ জন ১৮টি অস্ত্র এবং ১ হাজার ৪০২২ রাউন্ড গোলাবারুদ আর ভাই ভাই বাহিনীর আটজন আটটি অস্ত্র এবং ৩৩১ রাউন্ড গোলাবারুদ এবং সুমন বাহিনীর ১২ জন ১২টি অস্ত্র ও ১ হাজার ২১৫ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেন।

আতœসমর্পণকারীরা হলো- বড় ভাই বাহিনীর প্রধান মো. আব্দুল ওয়াহিদ মোল্লা (৪৯), বাচ্চু শেখ (৩৫), মাহামুদ হাসান (২৩), মো. রফিকুল ইসলাম (৪২), ওলি ইজারাদার (৩১), গোলাম মাওলা (৫০), অলিয়ার শেখ (৫০), বরকত আলী শেখ (৫০), রেজাউল মোল্লা (৪৫), রিপন শেখ (৩১), খালিদ ইজারাদার (৪০), মিকাইল ইজারাদার (৩১), বায়েজিদ মোল্লা (৩৪), লিটন আলী ইজারাদার (৩১), মাজেদ ইজারাদার (৫০), এসএম মেহেদি হাসান মিলন (৩১), আব্দুল মজিদ ভাঙ্গী (৫৫), ইউনুস আলী (৩২), ভাই ভাই বাহিনীর প্রধান ফারুক মোড়ল (৩০), রেজাউল সানা (৫০), অনিমেষ বাড়ৈ (২৪), কুতুব উদ্দিন গাজী (৩০), ইমদাদুল হক (২৮), আলমগীর হাওলাদার (৩২), আলামিন হাওলাদার (৩০), হাবিবুর রহমান সিকদার (৩২), সুমন বাহিনীর প্রধান জামাল শরিফ সুমন (৪২), কাইয়ুম জোমাদ্দার (২৯), আলামিন মৃধা (৪০), জামাল তালুকদার (৩৫), রাজা ফরাজি (২৫), আলামিন খা (২৫), মো. রফিকুল (৪১), আকরাম হোসেন গাজী (৩১), জুয়েল রানা (৩০), আবুল কালাম শেখ (৬০), মিলন হাওলাদার (২২), ছমির তালুকদারসহ (৪৫) ৩৮ জন।


আত্নসমর্পণকারীরা সবাই খুলনা, সাতীরা ও বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।

র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজীবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ।

এ নিয়ে আজ পর্যন্ত মোট আত্নসমর্পণকারী জলদস্যু বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭টি এবং আত্নসমর্পণকারী জলদস্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯০ জনে। এ পর্যন্ত জমা দেওয়া অস্ত্রের মোট সংখ্যা ৩২০টি এবং গোলা বারুদের মোট সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৯০টি।

র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক মেজর সোহেল রানা প্রিন্স বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বড় ভাই, ভাই ভাই ও সুমন বাহিনী সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মোংলা, শ্যালাগাং, হারবাড়িয়া, ভদ্রা, সুন্দরবনের পশুর নদী এবং বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে সক্রিয় জলদস্যু বাহিনী। এসব অঞ্চলের বনজীবী ও জলজীবী সাধারণ মানুষ তাদের টার্গেট ছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত