জমি সংক্রান্ত বিরোধে

রামপালে শিক্ষক পরিবারকে মারপিট

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:৫৬ পিএম, রোববার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ৮৫২

রামপালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক শিক্ষকসহ পরিবারের ৩ সদস্যকে মারপিট করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটক ভিকটিম ৯৯৯ এ ফোন করলে রামপাল থানা পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে বাদি হয়ে রামপাল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন শিক্ষক হাওলাদার জাকির হোসেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গিলাতলা গ্রামের হাওলাদার পাড়ার মৃত্যু হাওলাদার ইউসুফ আলীর পুত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওলাদার জাকির হোসেনের সাথে তার আপন সহদর হাওলাদার শাকুর, হাওলাদার আজগর আলী, হাওলাদার আবুল কালাম ও হাওলাদার মিটুল, মহিতুন বেগম, এবং ফাতেমা বেগমসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় হাওলাদার পাড়া সাকিন্থ নিজ বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। এ সময় উক্ত ব্যক্তিরা মারপিট করে শিক্ষক জাকির হোসেনর পুত্র ইশতিয়াক হোসেন কে বেধড়ক মারপিট করে গুরতর আহত করেন। এ ঘটনায় ওই একই দিন প্রতিকার চেয়ে রামপাল জানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে একই দিন রাত ১০ টায় আবারও বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা করে। তাদের হাতে থেকে বাঁচার জন্য বসতঘরের দরজা আটকে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় ওই ব্যাক্তিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষক জাকিরকে ধরে এনে খেজুর গাছের সাথে বেধে রেখে মারপিট করে ও ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, দলিলপত্র, একটি দামী মোবাইল ফোন হাসাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে ও স্কুলের মূল্যবান কাগজপত্রসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে জীবনে শেষ করে দেয়ার হুমকিসহ তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে শিক্ষক জাকির কে পার্শ্ববর্তী মোতালেব হোসেনের বিল্ডিংয়ের মধ্যে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয় দেয়। তার স্ত্রীর সহায়তায় কৌশলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে রামপাল থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হাওলাদার শাকুর গংদের সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিধি অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগীরা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত