১৫বছর পলাতক থাকার পর

শরণখোলার ফাঁসির আসামীকে গ্রেফতার করলো ইন্টারপোল

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৮:০৫ পিএম, রোববার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ৭০১

দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাসুম হাওলাদার

প্রায় ১৫ বছর পলাতক থাকার পর নয়াদিল্লী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাগেরহাটের শরণখোলায় চাঞ্চল্যকর জাহিদুল (২৫) হত্যা মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাসুম হাওলাদারকে। ভারতের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গত ২৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তাকে গ্রেফতার করে নয়াদিল্লী পুলিশ। রবিরার সকালে শরণখোলা থানা পুলিশ ও নিহতরে পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আসামী মাসুম হাওলাদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে শরণখোলা থানা পুলিশ। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত মাসুম শরণখোলা উপজেলার বাধাল গ্রামের আদম আলী হাওলাদারের ছেলে।


জানা গেছে, উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের ছিদ্দিক তালুকদারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম স্থানীয় নলবুনিয়া বাজারে মোবাইল ফোন ও ফ্ল্যাক্সি লোডের ব্যবসা করতেন। ২০০৫ সালের ৬ জুন রাতে ওই দোকান থেকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে জবাই করে ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যার পর পার্শ¦বর্তী ধান ক্ষেতে ফেরে রাখা হয়। পরেরদিন সকালে পুলিশ জাহিদুলের লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় পাঁচ জনকে আসামী করে নিহতের বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পাঁচ আসামীর মধ্যে মাসুম হাওলাদারকে ফাঁসির আদেশ এবং বাকী চার জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।


নিহতরে মা মমতাজ বেগম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এভাবে আর যেনো কোনো মায়ের কোল খালি নায়। ছেলে হত্যার আসামী দীর্ঘবছর পর গ্রেপ্তার হওয়ায় তিনি খুসি হয়েছেন। এখন তার দ্রুত ফাঁসি দেখতে চান তিনি।


নিহতরে চাচাতো ভাই উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তালুকদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ছেলের শোকে রোগগ্রস্ত হয়ে বাবা ছিদ্দিক তালুকদার দুই বছর আগে মারা গেছে। মাও অসুস্থ। দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর হলে তাদের পরিবার স্বস্তি ফিরে পাবে।


শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আসামীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যপারে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত