বাগেরহাটের কৃতি সন্তান যুক্তরাষ্ট্রে সম্মানিত

ষ্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৬:৩২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ | ২২১৮

বাগেরহাটের কৃতি সন্তান পুরস্কৃত হলেন যুক্তরাষ্টের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় । সেখানে বাংলাদেশি কম্যুনিটির বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে বিশেষ অবদান রাখায় গত ২১ জানুয়ারি রবিবার স্থানীয় আসিয়ানা রেষ্টুরেন্টের হল রুমে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে রেকগনিশন অফ এচিভমেন্ট এওয়ার্ড দেন নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশ কনভেনশন (এনএবিসি)। তার হাতে এ এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন এনএবিসি চেয়ারম্যান দিনাজ খান ।

এ সময়ে সংগঠনের নির্বাহী সম্পাদক মোহন জাব্বারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন যুগ্ন নির্বাহি সম্পাদক উত্তম দে।

দীর্ঘ সাংবাদিকতার জীবনে এটি তার চতুর্থ পুরস্কার । ১৯১০ সালে তিনি প্রথম এ্যাওয়ার্ড পান আটলান্টা কালচারাল সোসাইটি ( আকাস ) কর্তৃক । ২০১৩ ও ২০১৪ পর পর দু বার তিনি জর্জিয়া আওয়ামীগ কর্তৃক সাংবাদিকতার স্বীকৃতি হিসেবে বিশেষ পুরস্কার পান।

চলতি বছর ম্যাসাচুসেট অঙ্গরাজ্যের বোস্টনে এনএবিসির সম্মেলন উপলে এক প্রস্ততি সভায় জর্জিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন কার্যক্রমের পুরস্কার হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ এ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় ।

পুরস্কার পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, কাজের স্বীকৃতি পেলে ভাল লাগে।
কাজে উৎসাহ বাড়ে। আমি পুরস্কার পাওয়ার জন্য কাজ করি না। সাংবাদিকতা করি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। “সাংবাদিকতা আমার নেশা এবং অন্য রকম পেশা। চ্যালেঞ্জিং। এই পেশার মাধ্যমে সমাজ সংসার কম্যুনিটির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করা যায়। মানুষের উপকার করতে আমার ভালো লাগে । তাই প্রবাসে এই শত ব্যস্ততার মধ্যেও এই পেশাকে হাতে নিয়েছি।

2010

সংবাদ পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে গল্প উপন্যাসও লিখে থাকেন তিনি। এ পর্যন্ত তার গোটা পাঁচেক বই বেরিয়েছে ঢাকা থেকে , প্রথম উপন্যাস নিয়োগ পত্র প্রকাশিত ২০০৯ সালে একুশের বই মেলায় ।
তার সবগুলো বই- ই অনলাইনে কিনতে পাওয়া যায় ।

বাগেরহাট থেকে প্রকাশিত দণি বাংলা পত্রিকা থেকে তার সাংবাদিকতার হাতে খড়ি । এর পরে তিনি লিখেছেন সমুদ্র বন্দর মোংলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুন্দরবন , লিখেছেন তিনি খুলনার পত্রিকা দৈনিক জন্মভূমিতেও । ১৯৯১ সালে খুলনা ল-কলেজে অধ্যায়নরত অবস্থায় পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে ।


এসে উঠেন জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় । আটলান্টা থেকে লিখতে শুরু করেন নিউইয়র্কের প্রখ্যাত ঠিকানা পত্রিকায় । ২০১৪ নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করেন শনিবারের চিঠি নামের ওয়েব পোর্টাল।

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার টেংরাখালি গ্রামের সিকদার আব্দুল খালেক ও মনোয়ারা খালেকের সন্তান সিকদার মনজিলুর রহমান ১৯৯১ সাল থেকে যুক্তরাষ্টে বসবাস করছেন।


এদিকে তার পুরস্কার প্রাপ্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাগেরহাটের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোর ডট কম এর সম্পাদক খোন্দকার নিয়াজ ইকবাল। তিনি বলেন, এ কৃতি সন্তান দেশের বাইরে থেকে যে সম্মান অর্জন করেছেন এ সম্মান শুধু তার নয় এটা পুরো বাগেরহাটবাসির, তিনি আমাদের জেলার প্রতিটি মানুষকে সম্মানীত করেছেন। এ কৃতি সন্তানের আরো উন্নতি কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত