১৪ জেলেসহ ১০দিন সাগরে নিখোঁজ শরণখোলার ফিশিং ট্রলার

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৬:১৫ পিএম, শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ৬৯৯

প্রতিকী ছবি

বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণ করতে গিয়ে ১০দিনেও ফিরে আসেনি এফবি মা-বাবার দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার। ১৪ জন জেলেসহ নিখোঁজ রয়েছে ট্রলারটি। নিখোঁজ ট্রলারটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর এলাকার মৎস্য আড়তদার মো. কবির হোসেন ওরফে হুমায়ুন কবিরের।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ট্রলার মালিক কবির আড়তদার বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে রাজৈর মৎস্য অবতরণ ঘাট থেকে তার ট্রলারটি ১৪জন জেলেসহ সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওইদিন শরণখোলার আরো বেশ কয়েকটি ট্রলারও রওনা হয় একই সঙ্গে। মাছ ধরে ৭-৮দিনের মধ্যে ঘাটে ফিরে আসার কথা। কিন্তু অন্যসব ট্রলার ফিরে এলেও তার মা-বাবার দোয়া আজও ফিরে আসেনি।

কবির আড়তদার জানান, নির্ধারিত সময়ের তিন দিন পার হতে চলেছে। একই সঙ্গে যে সব ট্রলার গিয়েছিল তা মঙ্গলবার ও বুধবারের মধ্যে (২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর) মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। ট্রলারটির কোনো সন্ধান না পেয়ে এরই মধ্যে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মৎস্যসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়েছেন। ট্রলারটি কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে কি না তাও সঠিক বলতে পারছেন না।


তার ট্রলারের মাঝির নাম মঞ্জু মিয়া। তার বাড়ি নোয়াখালীতে। অন্য জেলেদের কয়েক জনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তার ট্রলারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৭৪৫৫। কেউ ট্রলারটির সন্ধান পেলে ০১৭১৬০৫৬২০৮ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কবির আড়তদার।


মৎস্য ব্যবসায়ী সহিদ ভূঁইয়ার এফবি কামাল ট্রলারের মাঝি সিরাজ মিয়া ও ছগির হাওলাদারের এফবি আল্লাহর দান তোফা ট্রলারের মাঝি ইলিয়াস হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, মা-বাবার দোয়াসহ তারা ওইদিন একই সাথে ১০-১২টি ট্রলার ঘাট থেকে ছেড়ে যান। সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর বঙ্গোপসাগরে তারা যে যার মতো জাল ফেলে মাছ ধরেন। ৭-৮দিনের মধ্যে সবাই ফিরেছেন। কিন্তু ওই ট্রলারটি কোথাও দেখেননি তারা।


শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, ফিশিং ট্রলার নিখোঁজের বিষয়ে জানা নেই। অভিযোগ পেলে খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত