মোংলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ী ঘরে হামলা ও মারধর, আহত-৬

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ১০:২০ পিএম, রোববার, ৯ এপ্রিল ২০২৩ | ৩৩৬

মোংলায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের অন্ধকারে বাড়ীর মধ্যে ঢুকে ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের মারধর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোংলা পোর্ট পৌর শহরের কুমারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কম বেশী ৬ জন আহত হয়। তার মধ্যে সেলিম নামের একজনের অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারে নি ।


পুলিশ ও ভুক্তভোগী ইলিয়াস খাঁন বলেন, পুর্ব শত্রুতার জেরে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার বসত বাড়ীতে জোর পুর্বক ঢুকে হামলা ও গালাগালি করতে থাকে মোঃ শহিদুল মোল্লা, মোঃ জামাল মোল্লা, দুলাল ফকির, নুর নবী মোল্লা, মোঃ সাদ্দাম, নাইম মোল্লা সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী। এসময় আমার ছেলে আবির খানঁ প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেদরক মারধর করে। পরে তার ডাক চিৎকারে আমর পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করতে গেলে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও আমাকে পেলে জানে মেরে ফেলার হুনকি দিয়ে আমার বাড়ীর সামনের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকে।



এমন সংবাদ পেয়ে আমি সহ আমার সাথে মোঃ শাহ আলম শিকদার ও মোঃ সোহেল আমার বাড়ীর সামনে গেলে উল্লেখিত সকল আসামীরা অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করে এবং এলোপাতাড়ি ভাবে আমাদের মারধর করে। এ সময় আশপাশের লোকজনের এগিয়ে আসলে নানাবিধ ভয়ভীতি ও জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।


এ ঘটনায় ইলিয়াস খান (৪০), আবির খান (১৬), সেলিম (৩২), উজ্জল (৩২), সোহেল আকন (৩২), শাহালম সিকদার (৫৫) ও শাহিন (৪০) সহ ৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের উদ্বার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সেলিমের অবস্থা অবনতি হলে দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।


মোংলা থানার অফিসারর ইনচার্জ মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম বলেন, কুমারখালী এলাকায় মারামারির ঘটনায় উভয়ের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে, দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়ার আশ্বাস থানার এ কর্মকর্তার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত