কুড়িয়ে পাওয়া অর্থ ফেরত দিলেন জর্জিয়ার প্রথম আলোর সাংবাদিক

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১০:০৬ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ | ৫৮৫

সোফার উপর অলস পড়ে আছে ডলার ভর্তি ইনভেলাপটি

কুড়িয়ে পাওয়া ডলার প্রকৃত মালিককে ফেরত দিয়ে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন প্রথম আলো উত্তর আমেরিকার জর্জিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক সিকদার মনজিলুর রহমান।

১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশে পরিবারের জন্য কিছু রেমিটেন্স পাঠাতে স্থানীয় সোনালী এক্সচেঞ্জ মানি রেমিট্যেন্সে যান সাংবাদিক সিকদার মনজিলুর রহমান। গিয়ে দেখেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজার বোরহান উদ্দিন কাউন্টারে নাই । মনে করলেন তিনি হয়ত নামাযের বিরতি বা প্রকৃতির ডাকে শৌচাগারে গিয়ে থাকবেন। কয়েকটা ডাক দিয়ে দিনে কাউন্টারের সামনে সোফায় বসতে গিয়েই দেখেন সোফার হাতলের উপর একটি ইনভেলাপ এবং তার ভিতরে কিছু ডলার। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলেন সেখানে অন্য কেহ নাই। কিছুক্ষন পরে ম্যানেজার ফিরে এলে সাংবাদিক জানতে পারেন তিনি শৌচাগারে ছিলেন । ম্যনেজার জানতে চাইলেন ডলার পাঠাবেন কিনা ? প্রতুত্তরে হ্যাঁ সুচক জবাব দিয়েই বললেন,ডলার পাঠাবো পরে বলেই তিনি ডলার ভর্তি ইনভেলা্টি তার দিকে তুলে ধরলেন । ম্যানেজার জিজ্ঞেস করল কী এর ভিতরে ? সাংবাদিক জবাব দিল এর ভিতরে কিছু ডলার । কোন প্রবাসী দেশে রেমিট্যেন্স পাঠাতে এসে ভুলে সোফার উপর রেখে চলে গেছেন। ম্যানেজার জিজ্ঞেস করল কত ডলার ? সাংবাদিক জবাব দিল আমি জানিনা । আমি তো গণনা করে দেখিনি। ম্যনেজার তাকে ভিতরে ডেকে নিয়ে দু’জনের উপস্থিতিতে ডলারসমুহ গণনা করে দেখে ৬ শত ৭০ ডলার । বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মান ৭২ হাজার ৬ শত ৯৫ টাকা ।

সাংবাদিক মনজিলুর রহমান প্রকৃত মালিককে ডলারসমুহ পৌঁছে দিতে সহায়তা করার জন্য মানেজারের জিম্মায় রেখে স্থান ত্যাগ করেন। স্থান ত্যাগ করার পূর্বে সাংবাদিক বলে আসেন, বাড়িতে গিয়ে তিনি এ ব্যাপারে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটু পোস্ট দিবেন। যেন ম্যাসেজটি প্রকৃত মালিকের কাছে পৌঁছে।

সোনালী এক্সচেঞ্জ ত্যাগ করার কয়েক মিনিট পরেই ম্যানেজার বোরহান উদ্দিন সাংবাদিক রহমানকে মোবাইলে জানান,ডলারসমুহের প্রকৃত মালিক খুঁজে পাওয়া গেছে তিনি কল করেছিলেন । নাম আব্দুল হাকিম । জার্জিয়ার লিলবার্ণে বসবাস করেন। একটু পরে আসবে এবং ডলারসমুহ সংগ্রহ করবেন।

আব্দুল হাকিম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান,তিনি দেশে কিছু রেমিট্যেন্স পাঠাতে সোনালী এক্সচেঞ্জ গিয়েছিলেন এবং ইনভেলপ ভর্তি কিছু ডলার অসাবধানতাবশত সোফার উপর রেখে আসেন। সেখান থেকে বেরিয়ে একটি মার্কেটে গিয়ে টের পান তার পকেটে ডলারের ইনভেলাপটি নাই। সঙ্গে সঙ্গে সোনালী এক্সচেঞ্জ কল করেন এবং জানতে পারেন তার ডলারসমুহ সুরক্ষিত আছে । পরে গিয়ে ম্যানেজার বোরহান উদ্দিনের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন এবং সাংবাদিক সিকদার মনজিলুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সাংবাদিক সিকদার মনজিলুর রহমান বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার টেংরাখালি গ্রামের সিকদার আব্দুল খালেকের সেজো ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙরাজ্যে বসবাস করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত