আদালতের আদেশ উপেক্ষা

মোল্লাহাটে জমি দখল ও দোকান নির্মাণের অভিযোগ

মোল্লাহাট সংবাদদাতা

আপডেট : ০৫:১৬ পিএম, রোববার, ১ অক্টোবর ২০১৭ | ১০৯২

দোকান নির্মাণ
মোল্লাহাটে আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অন্তত পাঁচটি দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার দারিয়ালা বাজার সংলগ্ন চকগুয়াখোলা মৌজার এসএ ১৯ নং দাগের নিস্কন্টক ওই জমিতে জোর পূর্বক দোকান ঘর নির্মাণ ঘটনার প্রতিকারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মালিক পক্ষ। মালিক পক্ষের অভিযোগ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা সুত্রে প্রকাশ-উক্ত ১৯ নং দাগের ৮০ শতক জমির মালিক দবির উদ্দিন ভূইয়ার থেকে পাউবো ২৫ শতক জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ওয়াপদা বাধ/কাঁচা সড়ক তৈরী করে। উক্ত ওয়াপদা সড়কের পাশে পাউবো’র কিছু অংশসহ মালিক পক্ষের জমি রয়েছে। উক্ত জমি দারিয়ালা বাজার সংলগ্ন হওয়ায় সেখানে দোকান/মার্কেট তৈরীর চেষ্টা করে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। যে কারণে শান্তি-শৃঙ্খলা ও জমি রক্ষার্থে বাগেরহাট আদালতের নিষেধাজ্ঞা চান জমির মালিক দবির উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে ভূইয়া সাহাব উদ্দিন। যার নং ২০২২/১৩। আদালত বিবাদীগণকে উক্ত জমিতে অনুপ্রবেশ সহ বাদী পক্ষের দখলে বিঘœ সৃষ্টি করা হতে চিরস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ওই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্থানীয় আনসার শিকদার, দিপু শেখ, বাচ্চু শেখ, কবির শেখ ও এনায়েত শিকদার জোর পূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করছেন। জমির মালিক পক্ষে মৃত দবির উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মোঃ হাসমত আলী ভূইয়া গং আরো বলেন-তাদের অধিগ্রহণকৃত জমির ওয়াপদা সড়কের অবশিষ্ট অংশ পাউবো’র থেকে নিজেদের অনুকুলে ইজারা নিয়েছেন। অথচ কোনরূপ কাগজ-পত্র ছাড়াই কেবল অন্যায় ভাবে জোর করে তাদের জমিতে দোকান নির্মাণ করছে ওই সকল লোভী ব্যক্তি। জমির মালিক পক্ষ ওই সকল জবর-দখলকারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ প্রার্থণা করছেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার উজির আলী বলেন-যারা দখল করছে তাদের জোর-বল বেশী, আর যাদের জমি দখল করছে তারা বংশের বড় এক সরকারী কর্মকর্তা অবসর গ্রহণ করায় এখন তারা দুর্বল .... ! এ বিষয়ে জবর-দখলের বিষয় অস্বীকার করে আনসার শিকদার মুঠো ফোনে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমরা তেরখাদার কালীপদ ডাক্তারের কাছ থেকে টাকা দিয়ে ওই জায়গা নিয়ে ২০০২ সাল থেকে ভোগ দখল করছি। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড আমাদের উচ্ছেদের নোটিশ করলে আমরা ৪১জন গত এক বছর আগে বন্দোবস্তো পাবার জন্য আবেদন করেছি।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত