শরণখোলা মহাসড়কে হাঁটু পানি

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:৩৭ পিএম, শনিবার, ১৪ জুলাই ২০১৮ | ১২৫৫

বাগেরহাটের সাইনবোর্ড-বগী আঞ্চলিক মহাসড়কের শরণখোলা অংশের জনগুরুত্বপূর্ণ চারটি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের রায়েন্দা পাঁচরাস্তা বদল চত্বর এলাকায় হাঁটু পানি এবং রায়েন্দা সেতুর দুই মাথার তিনটি পয়েন্ট দেবে গেছে। সড়কের এ অংশটি এখন মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় একবছর ধরে সড়কের এমন বেহাল অবস্থা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগ বা জনপ্রতিনিধিরে এনিয়ে কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

শনিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের সবচে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচরাস্তা বাদল চত্বর এলাকার প্রায় ৫০ মিটার সড়কের কার্পেটিং উঠে সেখানে পানি জমে বিশাল পুকুরে পরিনত হয়েছে। মানুষজনের পায়ে হেটে চলার কোনো উপায় নেই। এমনকি যানবাহনও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে না। সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি জমে সেখানে। আশপাশ এলাকার ময়লা পানি এসে জমে থাকায় পরিবেশও দুষিত হয়ে উঠছে।


অপরদিকে, রায়েন্দা সেতুৃর দুই মাথায় তিনটি পয়েন্টের নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে বিশাল গর্ত হয়েছে। মাঝেমধ্যে গর্তগুলো মাটি ও বালুর বস্তা দিয়ে ভরাট করা হলেও কিছুদিন পর আবার দেবে যায়। বর্তমানে সেখান থেকে যাত্রীবাহী ও অন্যান্য যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।


বাদল চত্বর এলাকার মুদি দোকানদার মো. আনসার আলী ও ফল ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, প্রায় এক বছর ধরে এখানকার ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দোকানের সামনে পানি জমে থাকায় কাষ্টমার আসতে চায়না। তাছাড়া, ময়লা পানিতে মানুষের জামাকাপড়ও নষ্ট হয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।


এব্যাপারে রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বাদল চত্বরে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি পানি নিষ্কাশনের পথ অবরুদ্ধ করে সেখানে বাড়িঘর, দোকানপাট নির্মান করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগককে সড়ক মেরামতের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, জনদুর্ভোগ নিরসনে আপাতত বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা থেকে পানি নিষ্কাশনের একটি ড্রেন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাস্তা মেরামতের জন্য সড়ক বিভাগকে বলা হবে।


এব্যাপারে কথা বলার জন্য শনিবার বিকেলে বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ ও উপ-বিভাগীয় প্রকোশলী মো. নজরুল ইসলামের মোবাইলে কল করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত