চিতলমারীতে আগাম টমেটো চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সবজি চাষিরা আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন। অনেক ক্ষেতে ফুল ধরতে শুরু করেছে। অকান্ত পরিশ্রমের পর ফোটা টমেটো’র ফুল এ অঞ্চলের চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কিন্তু আগাম টমেটো চাষে রয়েছে নানান বিড়ম্বনা। সঠিক ভাবে ক্ষেতের পরিচর্যা না করলে চাষিদের চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে এমনটাই জানালেন খড়মখালী গ্রামের বেশ কয়েকজন টমেটো চাষি।

এ গ্রামের টমেটো চাষি মুক্তিযোদ্ধা মনি মোহন হীরা, আলমগীর তরফদার, পরিমল মজুমদার ও গৌর মজুমদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ অঞ্চলের টমেটো দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা মেটায়। প্রতিবছর এখানে কয়েক লাখ টন টমেটো উৎপাদিত হয়। আগতি টমেটোতে ভাল দাম পাওয়া যায়। আগাম টমেটো ফলাতে কৃষকের অকান্ত পরিশ্রমও করতে হয়। আর অকান্ত পরিশ্রমের পর ফোটা টমেটো’র ফুল আজ এ অঞ্চলের চাষিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তারা এ আগাম টমেটো চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।

শ্রীরামপুর গ্রামের টমেটো চাষি বিমল মন্ডল, কালশিরার বিকাশ মন্ডল, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, সুরশাইলের মুন্না শেখ, খড়মখালীর পরেতোষ মজুমদার, িিতষ, লিটন সিংহ, কুরমুনির রেজাউল খান, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের দেবদাস বৈরাগী, দিজেন বৈরাগী ও সুবাস বৈরাগী, বুদ্ধ বসু ও নিহার পালসহ অনেক চাষি প্রায় অভিন্নসুরে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বর্তমানে তাপমাত্রা বেশীর কারণে টমেটো গাছ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। টমেটো চাষে ক্ষতি হলে এ অঞ্চলের চাষিদের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙে যাবে।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ বছর উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ একর জমিতে চক্র, পানপাতা, মিন্টু সুপার, লাভলী, হাইটম ও বিউটিসহ বিভিন্ন জাতের টমেটোর চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত এ এলাকায় শীতকালীন টমেটোর চাষ হয়ে থাকে। তাই আগাম চাষের জন্য ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেদিকটা বিবেচনা করে কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বিক ভাবে খোঁজ খবর রাখছে।