মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন ও নির্গমন ফের শুরু

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের অন্ধ্র ও উড়িশ্যা উপকূলে বৃহস্পতিবার ভোরে আঘাত হানার পর বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকার মানুষের মধ্যে আতংক কেটেছে। আবহাওয়া বিভাগ সকালে ৪ নং স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেতের পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করে। এরপর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের ঘোষিত বিশেষ সতর্ক বার্তা এলার্ট-২ নামিয়ে ফেলেছে। বন্দরে বিদেশী জাহাজ আগমন ও নির্গমন ফের শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বন্দর জেটিতে অবস্থানরত সকল দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলি প্রভাবে বাগেরহাটসহ মোংলা বন্দর আশপাশ উপকূলীয় এলাকায় হালকা থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র তান্ডব মোকাবেলায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসন প্রস্তুতিমূলক সভা করে ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখলেও লোকজনের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র প্রভাবে সাগরের তীব্র শ্রোত ও বিশাল-বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ায় শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা ফরেস্ট অফিসের জেটি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগাম সর্তকতা হিসেবে বুধবার সন্ধ্যার আগেই সুন্দরবনের সকল পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে বন বিভাগ।