ডলফিন সংরক্ষনে মোংলায় বিভিন্ন কর্মসুচি পালন

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৪৪ পিএম, মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৯ | ৫১৮

সুন্দরবনের নদ নদীতে পরিবেশবান্ধব ডনফিন রক্ষায় সচেতনাতা মুলক বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করছে বন বিভাগসহ কয়েকটি সংস্থা। মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনির বাজার ও উওর জয়মনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাঃ ডলফিন কনজারভেশন প্রকল্প”র আয়োজনে রবিবার ও মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় ডলফিন ও শুশুক সংরক্ষনের জন্য গন চেতনতামুলক কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হুমকির মুখে রয়েছে সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্যের বিরল প্রজাতির ইরাবতী ডলফিন এবং শুশুক। নদীদূষণ, ডলফিন শিকার ও পাচার, আবাসস্থল নষ্ট হওয়াসহ ইরাবতী ও শুশুক ডলফিনের ৭টি হুমকি ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে । সেই সঙ্গে ডলফিন রায় নতুন প্রকল্পের কাজও করে যাচ্ছেন এ সংস্থাগুলো। এ ছাড়া ডলফিন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন, বন বিভাগের কর্মী ও জেলেদের প্রশিণ প্রদান, দতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ডলফিনের জন্য তিকর মাছধরা জালের ব্যবহার কমানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সুন্দরবনের ঢাংমারী, চাঁদপাই ও দুধমুখী এলাকাকে ডলফিনের অভয়ারণ্য ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এ তিনটি এলাকার প্রায় ৩২ কিলোমিটার নদীজুড়ে ইরাবতি ও শুশুক ডলফিনের বিচরণ রয়েছে। কিন্তু পরিবেশ প্রতিবেশগত কারণে এসব ডলফিন বিলুপ্তির পথে। অভয়ারণ্য ঘোষণার পরও এসব এলাকা দিয়ে ভারী নৌযান চলাচল করায় নদীর তীর ভেঙে যাচ্ছে। তীরের মাটি নদীর গভীর স্থানগুলো ভরাট করে ফেলছে। এর ফলে ডলফিনের আবাসস্থল তিগ্রস্থ হচ্ছে।

বন বিভাগ ও ডলফিন কনজারভেশন প্রকল্প তারা ডলফিনের জন্য যে ৭টি হুমকি চিহ্নিত করেছে তা হলো, সুন্দরবনের নদীতে ভারী নৌযান চলাচল ও পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত পরিমাণে মাছ আহরণ, মাছ ধরার ক্ষেত্র নেট ও বেহুন্দি জালের ব্যবহার, ডলফিন শিকার ও পাচার, বনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে ডলফিনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার শিল্প কারখানার বর্জ্যে পানিদূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন।

এ গন সচেতনতামুলক কর্মসুচি অনুষ্ঠানে এলাকার সকল জেলে বাওয়ালী ব্যাবসায়ীসহ স্থানীয় সকল গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থি ছিলেন। বিশেষ করে পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জ ও বন বিভাগের সকল বনরক্ষী জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে সচেতনতা করা হয় ডলফিন সংরণের জন্য। ডলফিন কনজারভেশন টিমের মাধ্যমে চাদপাই রেঞ্জ এলাকায় সুন্দরবন নির্ভর ও জেলেদের নদীতে মাছ না ধরার জন্য ৫৪৮টি জেলে পরিবারকে ৩৯ হাজার করে টাকা বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য দেয়া হয়েছিল। সচেতনতামুলক কর্মসুচিতে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করে ডলফিন সংরক্ষণ করার সুবিধা-অসুবিধা ও আইনি জটিলতা সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া হয় ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে পূর্ব সুন্দরবনের রেঞ্জ কর্মকতা মোঃ শাহীন কবির, চাদঁপাই ষ্টেশন কর্মকতা কামরুল ইসলাম, সিএমরি সভাপতি মোঃ জহির গাজী, আই ইউ সি এন'র প্রজেক্ট ফেসিলেটেটর জোবায়ের হুসনি ফাহাদ, সিএনআরএস'র প্রোগ্রাম ফেসিলেটেটর স্বরন কুমার চৌহান, মোঃ নুরুজ্জামান, সুজন, পি এফ সভাপতি ওবায়দুর রহমান, ইউপি সদস্য অলিউর রহমান, নজরুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আঃ শুক্কুরসহ প্রায় ৫ শতাধিক নারী পুরুষ এ সময় উপস্থিত ছিলো। উল্লেখ্য, ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজ চলবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত