চিতলমারীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর অবস্থায় বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা-বাবা তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালের বিছানায় জ্ঞানহীন অবস্থায় পড়েছিল ওই ছাত্রী। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

ছাত্রীর বাবা দিনমজুর বাগেরহাট২৪কে বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে প্রতিবেশী সাধন সরকার তার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ক্রমান্বয়ে ধর্ষণ করে। মেয়ে বিষয়টি গোপন রাখে। সে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লেও তারা তা বুঝতে পারেনি। গত রবিবার সাধন সরকার, বিপুল বিশ্বাসসহ কয়েকজন তার মেয়েকে নিয়ে গোপালগঞ্জ বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ফিরে আসলে দেখে মেয়ে অসুস্থ্য। কারণ জানতে চাইলে মেয়ে মা-বাবার কাছে ঘটনা খুলে বলে।

মেয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় বুধবার দুপুর ১২ টায় হাসপাতালে ভর্তি করে। সাধন সরকার চিতলমারী উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের বড়বাক গ্রামের রবীন সরকারের ছেলে। বিবাহিত সাধন সরকারের এক মেয়ে আছে। পেশায় সে নির্মাণ শ্রমিক।

চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ জিয়াউল আদনান রুমেল বাগেরহাট২৪কে বলেন, ওই ছাত্রীকে অন্য কোথাও বসে ইতোপূর্বে গর্ভপাতের আলামত পাওয়া গেছে। ছাত্রীটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার চিকিৎসা চলছে।

ত্রিপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল রঞ্জন হাজরা বাগেরহাট২৪কে বলেন, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী জানুয়ারী মাস থেকে অদ্যাবধি বিদ্যালয়ে যায়নি। অসুস্থ্য ওই ছাত্রীর জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে করবেন। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) মীর শরিফুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাগেরহাট২৪কে বলেন,‘শোনামাত্র পুলিশ অভিযানে নেমেছে। ছাত্রীটি হাসপাতালে ভর্তি আছে। এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।