সরকারি মালামাল আত্মসাতের অভিযোগে
পিরোজপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
আপডেট : ০৭:০৮ পিএম, রোববার, ৩১ মে ২০২০ | ৬৫২
পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি আয়রন ব্রীজের লোহার মালামাল আত্মসাৎ করে বিক্রি করার অভিযোগে নাজিরপুর থানায় মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নামে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলু ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
শুক্রবার রাতে নাজিরপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল গাফ্ফার বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলু’র বিরুদ্ধে নাজিরপুর থানায় পেনাল কোডের ৪০৬/৪০৯/৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়ারী গ্রামে অজয় মন্ডলের ঘাটে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণাালয়ের অধীনে ৩৬ ফুট একটি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরআগে ওই স্থানে উপজেলা পরিষদ কর্তৃক একটি আয়রন ব্রীজ নির্মান করা হয়েছিল। নতুন গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করায় পূর্বের আয়রন ব্রীজের লোহার ৪১ খানা ভীম উপজেলা পরিষদের কোন অনুমতি ছাড়াই আত্মসাৎ করে মাটিভাংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বুলু গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গহরডাঙ্গা গ্রামের মৃত সিরাজ শেখের ছেলে ইস্রাফিল শেখের কাছে বিক্রি করেন। ক্রেতা ইস্রাফিল শুক্রবার একটি টমটমে করে ওই মালামাল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার পথে স্থানীয়রা টমটমসহ ওই মালামাল আটক করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এসব মালামাল ইউনিয়ন পরিষদে সংরণের বিধান রয়েছে। তবে চেয়ানম্যান সংরণের নিয়ম-কানুন মানেন নি। তাছাড়া উপজেলা নিলাম কমিটির অনুমোদন ছাড়াই আত্মসাতের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিক্রি করেছেন। তিনি জানান, নাজিরপুর থানা পুলিশ টমটমসহ মালামাল গুলো জব্দ করেছে।
নাজিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ ঘটনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুল গাফ্ফারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। মামলার পর থেকেই চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সরকারী কোন মালামাল উপজেলা পরিষদের নিলাম কমিটির অনুমোদন ছাড়া বিক্রি করার সুযোগ নাই। তবে চেয়ারম্যান নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে মালামাল গুলো বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই এ ঘটনায় সরকারের পে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।