মরা গরুর মাংস বিক্রির  অপরাধে আটক ২, মাংস জব্দ 

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৬:১০ পিএম, রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪ | ১২৬

শরণখোলায় রবিবার (২৪মার্চ) সকালে মরা গরু জবাই করে প্রকাশ্যে সেই মাংস বিক্রি করছিল একটি অসাধু চক্র। স্থানীয়রা মরা গরুর মাংস বিক্রির বিষয়টি টের পেয়ে জানায় প্রশাসনকে। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্য দুই সহদরকে আটক করেন।

এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ড্রামে ভর্তি প্রায় এক মণ মাংস, মাথা, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ডালিম ও আলামীন। তাদের অপর ভাই হালিম পালিয়ে গেছে। আটক দুজনকে শরণখোলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

উপজেলা সদর রায়েন্দা পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছিল এই মরা গরুর মাংস। রমজান মাসে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর বিচার দাবি করছেন সাবাই।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, পাঁচরাস্তা মোড়ের প্রশাসন মার্কেটে প্রকাশ্যে মরা গরুর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। বেশকিছু মাংস বিক্রিও করেছে তারা। অভিযান টের পেয়ে চক্রটি মাংস ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ লুকানোর চেষ্টা করছিল। একপর্যায়ে মার্কেট থেকে কিছুটা দূরে বান্দাঘাটা স্লুইস গেট এলাকা থেকে দুটি ড্রামে ভরা প্রায় এক মণ মাংস, চামড়া ও নাড়িভুড়ি জব্দ করা হয়েছে। চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা গেলেও একজন পালিয়ে গেছে।

ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, মৃত পশুর মাংস বিক্রি জঘন্য অপরাধ। এটা খাওয়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু এই চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পাঁচরাস্তা প্রশাসন মার্কেটে মাংস ব্যবসা করছে। এরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মরা, অসুস্থ গরু-ছাগল কম দামে কিনে তা জবাই করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। এব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় তারা মরা-রোগা পশুর মাংস বিক্রি করছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।

তবে আটক ডালিম ও আলামীন জানান, তারা এই মরা গরুর মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত না। তারা তিন ভাই সবাই আলাদা আলাদাভাবে মাংসের ব্যবসা করেন। এই মাংস তাদের অপর ভাই হালিমের। সে মাংস ফেলে পালিয়ে গেছে।

শরণখোলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই তাইজুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযানে আটক দুই ব্যক্তি, গরুর মাংস ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থানা হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে এদের বিরুদ্ধে আইগনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত