রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় আটক ১২ জনকে কারাগারে প্রেরন

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ১২:৩৫ এএম, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫০

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনায় আটক ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে প্রায় অর্ধশত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বাগেরহাটের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে আনসারের ছোড়া গুলিতে আহত ডাকাত সদস্য আসাবুল চিকিৎসাধীণ অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় গত দুই দিনে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে ।
রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস বলেন, বুধবার রাতে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ মাঠে নেমে ১১ জনকে আটক করে। পরে তাদেরকে বৃহস্পতিবার রাতে আটক করে। এএসপি (মোংলা সার্কেল) মুশফিকুর রহমান তুষার আটককৃতদের জিঞ্জাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমান পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো রামপালের কাপাশডাঙ্গা এলাকার মানিক শেখ (৩৫), মোঃ ফজলু গাজী (৫৫), মোঃ সালাম শেখ (৩০), মো. মনি গাজী (৪০), মো. নূর নবী শেখ (১৯), মো. আহাদ মোল্যা (৩৩) মো. আব্দুল্লাহ (৩৩), মো. বায়জিদ মোল্যা (৩৭), ছায়রাবাদের মো. রুবেল শেখ (২৬) গৌরম্ভার মাজাহারুল গাজী (৪০) ও আসাবুর গাজী (৩০)।
এর পূর্বে ডাকাতির সময় আনসারের ছোড়া গুলিতে আহত রামপালের কৈগর্দাসকাঠির বাসিন্দা আসাবুরকে পুলিশ চিকিৎসাধীণ অবস্থায় আটক করে। এ পর্যন্ত ওই ঘটনায় মোট ১১ জন কে আটক করা হয়েছে। এএসপি (মোংলা সার্কেল) মুসফিকুর রহমান তুষার সাংবাদিকদের জানান এটি স্রেফ ডাকাতি নাকি পরিকল্পিত কোনো নাশকতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ৪/৫ বছরের মধ্যে এতো বড় ঘটনা ঘটেনি। এর আগে মাঝে মধ্যে ৫/৬ জন কিংবা ১০/১২ জন চুরি করতে এসেছে। তাদের বেশির ভাগই আমাদের নিরাপত্তা ও আনসারদের হাতে ধরা পড়েছে। কিন্তু এবার এক সাথে ৫০/৬০ জনেরও বেশি লোক ডাকাতি করতে আসার ঘটনা প্রথম। এখন এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটই উৎপাদনে রয়েছে। তারা ডাকাতি করতে এসেছিল, নাকি কোনো নাশকতা করতে এসেছিল এটা এখন আলোচনার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। ঘটনার পর খবর পেয়েই র‌্যাব ও পুলিশ তদন্তে নেমে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে। এটা কোনো নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. ওলিউর রহমান বলেন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সীমানার কিছু কাজ বাকি আছে। এজন্য আমাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অল্প দিনের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ শেষ হবে । তখন সমস্যা হবে না। তবে এভাবে ৫০/৬০ জন কিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আসলো সে বিষয় নিয়ে ভাবছি। আশাকরছি রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত