উল্টে ও খাদে পড়ে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা

চিতলমারীতে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাইয়ের কারণে গ্রামীণ সড়ক গুলো ধংসের পথে

এস এস সাগর

আপডেট : ০৭:৪২ পিএম, শুক্রবার, ৩ আগস্ট ২০১৮ | ২০৭১

‘কি বলব ভাই! বলার কিছু নাই। কতিপয় স্বার্থন্বেষীর দায়ভার চাপছে স্থানীয় সংসদ সদস্যর ঘাড়ে। অথচ অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই যানবাহনের জন্য গ্রামীণ সড়ক গুলো আজ ধংসের পথে। ট্রাক উল্টে ও খাদে পড়ে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। এ জন্য দেখার কেউই নেই।’- শুক্রবার বিকেলে বড় ােভের সাথে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সদর ভুমি অফিসের সামনে বসে এমনটাই বলছিলেন তরুন সমাজ সেবক দেবাশীষ বিশ্বাস।


তিনি আরো জানান, প্রতি বছর বর্ষাকালে এখানের বিভিন্ন ইউনিয়নে সবজির মৌসুম শুরু হয়। এ অঞ্চলের উৎপাদিত সবজি দেশের বিভিন্ন এলাকার চাহিদা পূরণ করে থাকে। কিন্তু কতিপয় প্রভাবশালী তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য চিতলমারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর (এলজিইডি) অধীনে চিতলমারী বাজার থেকে বাবুগঞ্জ বাজার, চিতলমারী বাজার থেকে শেরেবাংলা কলেজ হয়ে বাবুগঞ্জ বাজার, চিতলমারী বাজার থেকে খাসেরহাট বাজার, চিতলমারী বাজার থেকে ডুমুরিয়া বাজার, বাখরগঞ্জ বাজার থেকে ডুমুরিয়া বাজার, চিতলমারী বাজার থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে সুরশাইল-কুরমুনি হয়ে বাখারগঞ্জ বাজার, চিতলমারী বাজার থেকে হিজলা বাজারসহ বিভিন্ন পাঁকা গ্রামীন সড়কে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্র্যাক ও যানবাহন চালিয়ে রাস্তাগুলো ধ্বংস করে ফেলছে। ট্রাক উল্টে ও খাদে পড়ে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। অথচ এত ছোট রোডে এত ওভার লোডেট যানবাহন চলার কোন নিয়ম নেই। অথচ এই বর্ষা মৌসুমে রাস্তাা দিয়ে সাধারণ মানুষজন চলাচল করতে না পেরে এর দায়ভার স্থানীয় সংসদ সদস্যর ঘাড়ে চাপছেন।


এ ব্যপারে চিতলমারী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাকারিয়া হোসেন মুঠোফোনে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই যানবাহনের কারনে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক বসে ও ধসে যাওয়ার খবর তিনি শুনেছেন। গ্রামীন সড়কে বর্তমানে যে পরিমান পণ্য নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে তা চলাচল করার কথা নয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেখভাল করার কথা। গ্রামীন সড়কে খুটি পুতে ভারী যানবাহন বন্ধ করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত