বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি

মোরেলগঞ্জে ডুবে গেছে মৎস্য ঘের, ফসলি জমি

মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতা

আপডেট : ১২:২৭ পিএম, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭ | ২৪৯৫

মোরেলগঞ্জে দুই দিনের লাগাতার বর্ষণ আর অমাবস্যার তিথির অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে শত শত মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। বিঘ্নঘটেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও চলাচল ব্যবস্থা।

১৬ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা নিয়ে মোরেলগঞ্জ উপজেলা । বৃহস্পতিবার , শুক্রবার ও শনিবারে চলামান লাগাতার বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দোকান পাঠ বন্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি কম, সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের কাজ কর্ম বন্ধ হওয়ায় উপক্রম হয়েছে। দিনে রাতে দুবার জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় পৌরসভার রাস্তা-ঘাট। পৌরসভার বারইখালী,সরালিয়া সহ উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এসব পরিবার পানি বন্দি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও পৌর সভার হাজার হাজার ঘেরের পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে।ওই উপজেলায় বাগদা চিড়িংর ঘের রয়েছে ৮ হাজার ৭শ’ ৫০ টি ও গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে ১ হাজার ১শ’ ৭০ টি। ঘের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এভাবে লাগাতার বৃষ্টি ও জোয়ার থাকলে অধিকাংশ মৎস্য ঘের ডুবে যাবে। অনেক পরিবারের বাড়ির পুকুর পানিতে ডুবে গিয়ে মাছ ভেসে গেছে। পাশাপাশি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে আমন ক্ষেত ফসলি জমি।

উপজেলায় ২৭ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে আবাদি জমি , এক ফসলি জমি ১৬ হাজার ২১ শ’ হেক্টর,দুই ফসলি জমি ৮ হাজার ২১ হেক্টর ও তিন ফসলি জমি রয়েছে ১ হাজার ৭ শ’ ৯০ হেক্টর জমি রয়েছে।


উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপম রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, কোন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে জোয়ার ভাটার এলাকায় ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা হবে না।

উপজেলা সিনিয়র সহকারী মৎস্য অফিসার ইয়াকিন আলী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, কোন অভিযোগ তাদের কাছে নেই। অনেক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও ভূক্তভোগীরা ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করতে এসে সংশ্লিষ্ট অনেক অফিসারকে পায়নি বলে অভিযোগ করেন। তবে ছুটির ফাঁদে পড়ায় তাদেরকে পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয়রা জানান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত