খুলনা-মোংলা রেললাইন

অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পায়নি গুরুপদ বিশ্বাস

এম, এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৫:৫২ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | ৬১৫

খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মানের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পায়নি রামপালের ভেকটমারি গ্রামের গুরুপদ বিশ্বাস। দুই বছর ধরে বাগেরহাট ডিসি অফিসে যেতে যেতে এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক গুরুপদ বিশ্বাস (৭৮)।

রামপালের ভেকটমারি গ্রামের বাসিন্দা গুরুপদ বিশ্বাস বলেন খুলনা-মোংলা মহসড়কের পশ্চিম পাশে হুড়কা মৌজার ৬০১ খতিয়ানে ১৭৫ নং দাগে আমার ৫৭ শতক কৃষি জমি রয়েছে যা রেললাইন নির্মানের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ৭ ধারার নোটিশ পেয়ে যথারীতি একই বছরে ”ইনডেমনিটি বন্ড” স্বাক্ষর করে বাগেরহাট ডিসি অফিসে জমা দেই।

কিন্তু অদ্যাবধি ক্ষতিপূরণের কোন টাকা পাই নাই। বারবার যোগাযোগ করা হলে বাগেরহাট ডিসি অফিসের সার্ভেয়ার জহির সাহেব বলেন মামলা থাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়া হচ্ছে না। অথচ ১৭৫ দাগের জমি নিয়ে কোন মামলা নেই। বিষয়টি বাগেরহাটের নবাগত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদকে অবহিত করা হয়েছে। অন্যদিকে হুড়কা মৌজার ৬০১ খতিয়ানের ১৭৫ নং দাগে ছয়জন জমির মালিকের মোট ২.০২ একর জমি রয়েছে।

এর মধ্যে গুরুপদ বিশ্বাসের ০.৫৭ একর, উষা রায়ের ০.১৭ একর, সন্তোষ মল্লিক গং- ০.৫২ একর, মোঃ হালিম পাটোয়ারীর ০.২৬ একর, মোঃ রাসু শেখ ০.২৬ একর এবং পেট্রোম্যাক্স কোম্পানীর ০.২৪ একর। এর মধ্যে একমাত্র পেট্রোম্যাক্স কোম্পানী ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছে বলে জানা গেছে। অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ না পাওয়া প্রসংগে রামপালের মানবাধিকার কর্মী এম এ সবুর রানা বলেন জমির মালিকানা স্বত্ত একজন মানুষের মৌলিক অধিকার। সরকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে জমি অধিগ্রহণ করতে পারে, কিন্তু জমির মালিকের সম্মতিতে অধিগ্রহণ করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দেয়া হলে মানবাধিকার লংঘন হয়।

ক্ষতিপূরণ না পাওয়া বিষয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন না জেনে অনেকে কথা বলেন। দেখা যায় প্রথম নোটিশে ৩৩ শতক জমি ছিলো কিন্তু চুড়ান্ত পর্যায়ে হয়তো ১৩ শতক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এ্যালাইনমেন্ট চেঞ্জ হতে পারে। আসলে তার জমি অধিগ্রহণ নাও হতে পারে। আমরা বাড়ীতে যেয়ে যেয়ে অধিগ্রহণের চেক দিচ্ছি। চেষ্টা করছি সমস্যা সমাধানের।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত