ফকিরহাট ও রামপালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত, বাড়ছে ঝুঁকি

ফটিক ব্যানার্জী

আপডেট : ০৬:২০ পিএম, বুধবার, ১৪ জুলাই ২০২১ | ১৩৬০

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে ও রামপালে উপজেলায় জনবল সংকটে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার বেহাল অবস্থা। করোনা পরিস্থিতিতে বিঘিœত হচ্ছে নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা। ক্রমেই বাড়ছে প্রসুতি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সপ্তাহের সাত দিনেই গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের সেবা দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ থাকলেও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছে না। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শকের কর্মস্থলে থাকার জন্য আবাসিক ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ স্থানে থাকে না। বেতাগা ও লখপুর ব্যতিতো ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসুতি মায়েদের ডেলিভারি হয় না। করোনা কালিন সময়ে নানা কারনে শিশু ও গর্ভবতি মায়েদের টিকা কার্যক্রম হচ্ছে বিঘ্নিত। ফলে প্রসুতি মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ভয়ে থাকছে পরিবার। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাচ্ছেনা কাঙ্খিত সেবা। আর এ সকল সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্টরা দায়ি করছেন জনবল সংকট ও করোনা ভাইরাস সংক্রমনের উদ্ভুত পরিস্থিতিকে।


অন্যদিকে যুব নারী ও পুরুষের বয়:সন্ধিকালিন স্বাস্থ্য সেবা কর্নার শুধুমাত্র ফকিরহাটে স্থাপন করা হলেও অসচেতনতায় মিলছেনা কাঙ্খিত সাফল্য। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ও মৃতের পরিবারের প্রতি তৈরি হচ্ছে সামাজিক বৈষম্য। পযাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রি ব্যবহারের অভাবে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতরাই হচ্ছেন করোনা আক্রান্ত।



অনুসন্ধানে জানা যায়, করোনা মহামারির প্রভাবে শিশু ও গর্ভবতী মায়েরা সঠিক সময়ে পাচ্ছেনা টিকা। ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে স্বজনরা রয়েছে আতঙ্কে। এমন এক ভুক্তভোগী মা টাউন নওয়াপাড়া এলাকার তপতি ব্যানার্জি বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, করোনায় লকডাউনে পড়ে তার ১৫মাসের শিশু পার্থ ব্যানাজীকে নিধারিত মাসের টিকা দিতে পারেনি তিনি। টিকা কার্যক্রম চালু আছে কিনা তাও সংশ্লিষ্টরা জানায়নি তাকে। যে স্থানে টিকা দেওয়া হয় সেই বাড়ির সামনে কোন নির্দেশনা টানানো হয়নি। একই এলাকার গর্ভবতি ময়না বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, হাসপাতালে (টাউন নওয়াপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে) গিয়ে আমরা একাধিক বার ফিরে এসেছি। কখন তারা টিকা দিতে আসে আর কখন চলে যায় কিছুই জানতে পারিনা। এমন অসংখ্য মা ও শিশু রয়েছে যাদের সঠিক সময়ে টিকা দিতে না পেরে রয়েছে আতঙ্কে।


এ উপজেলার ৯টি এফডাব্লিউভি তে ডেলিভারি রুম আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ স্থানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। খাতা-কলমে স্বাভাবিক প্রসবের কথা বলা হলেও বেতাগা ও লখপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়া অন্য কোথাও সন্তান প্রসব করানো হয় না। টাউন নওয়াপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বেলা দুইটার সময় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালের দরজায় ঝুলছে তালা। নেই কোন ডাক্তার, ফার্মাসিষ্ট বা আয়া। তবে সর্বক্ষনিক এখানে একজন এফডব্লিউভি, সেকমো, ফার্মাসিষ্ট ও আয়া থাকার কথা।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা ময়না বেগম, হাসিনা বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, হাসপাতালে কেউ না থাকায় প্রসবজনিত কারণে আসা বেশির ভাগ মা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে ও বাড়িতে সন্তান প্রসব করতে বাধ্য হন। প্রসব পরবর্তী কালিন সময়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ না পাওয়ায় বাড়ছে ঝুঁকি। মোঃ জলিল শেখ, আসাদ শেখ, মোঃ আলমসহ অনেকেই অভিযোগ করে বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাধারন কোন সমস্যার জন্য গেলে ডাক্তার না পেয়ে ওষুধের দোকানে গিয়ে দোকানদারের নির্দেশে চিকিৎসা নিতে হয়।


স্থানীয় সচেতন কতিপয় ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসা সেবার মান ও প্রশাসনিক নজরদারি এমন পর্যায়ে পৌছে গেলে যে চায়ের দোকান বা ইলেক্টিকের দোকানেও রোগের কথা বললে ওষুধ পাওয়া যায়। নাম সর্বশ^ সম্বল নিয়ে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে ওঠা ক্লিনিক গুলো প্রসুতি মা ও শিশুদের জীবন নিয়ে সেবার নামে মৃত্যু খেলায় মাতে। আর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোই জনবল সংকটে রোগাক্রান্ত।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস সুত্রে জানাযায়, গত জুন মাস পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট গর্ভবতী মা ছিলেন ৯৭৫জন, জুন মাসে ডেলিভারি হয়েছে ১২০জন প্রসুতিমার। প্রাইভেট ক্লিনিকে ও হাসপাতালে সিজারে ৫৭ জন ও নরমালে ৩৪জন। বাড়িতে বসে ২৯ টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এ মাসে মাতৃ মৃত্যু রোধ হলেও মৃত শিশু প্রসব হয়েছে ১টি।


করোনা কালীন সময়ে ঘরবন্দি থাকায় বাড়ছে অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নেই কোন কার্যক্রম। এমনি তিন জন ভুক্তভোগী আলামীন শেখ, মোঃ সাইফুল খান , মোঃ সোহেল তারা বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, করোনায় কর্মহীন হয়ে বাড়ি অলস সময় কাটাতে কাটাতে অনাকাঙ্খিত ভাবে তাদের স্ত্রী গর্ভীবতি হয়। তবে মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছ থেকে তারা ও তাদের পরিবার কোন প্রজনন সংক্রান্ত পরামর্শ বা সুরক্ষা সামগ্রি পায়নি।


করোনা আক্রান্ত রোগী বা করোনা ভাইরাস সংক্রমিক হওয়ার উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা সেবা চলছে নাম মাত্র। অনেকের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকলেও অনেকেই পরিক্ষা করাতে যাচ্ছেনা হাসপাতালে। এদের মধ্যে পিলজংগ এলাকার বিষ্ণু শিল, গোপাল ভাস্কর ও ফকিরহাট এলাকার পত্রিকা বিক্রেতা গোপাল মিত্র নামে তিন জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। মৃতের স্বজনরা জানান, তাদের পরিবারে একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় সর্বস্তরের মানুষের কাছে তাদের পরিবারের সদস্যরা সামাজিক ভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। নিকট আত্নীয় ও প্রতিবেশিরা যেন তাদের সাথে মিসতে বা কথা বলতে ভয় পায়। নিম্নআয়ের এ তিন টি পরিবারের সদস্যরা পড়েছে নানা সংকটে।


কেন তারা করোনা উপসর্গ থাকলেও হাসপাতালে পরিক্ষা করাতে যায়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে নিহতের পরিবারের স্বজনরা বলেন, আমাদের চিকিৎসা করানোর সমর্থ নেই। আর উপজেলা হাসপাতালে অধিকাংশ রোগীদের বলে, বাড়ি নিয়ে চিকিৎসা করো। আর জেলা বা বিভাগীয় হাসপাতালে শয্যা না থাকায় হাসপাতালের ডাক্তার ও পল্লি চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতেই ওষুধ কিনে খাওয়ানো হয়েছে।


ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন বেতাগা এলাকার করোনা রোগীর সরুপ দাশ(২৪)। তার বড় ভাই আরুপ দাশ বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় তার ভাই কে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।


ফকিরহাটে আইশোলেশন শয্যায় রোগি ভর্তি না করার প্রবনতা বেশি ডাক্তারদের বলে অভিযোগ করেন রোগী স্বজনরা। এ হাসপাতালে করোনা পরিক্ষার জন্য আগত রোগীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা না থাকায় করোনা উপসর্গনিয়ে হাসপাতালে বিক্ষিপ্ত ঘোরা ফেরা করতে দেখা যায় অনেককেই। এর ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা রয়েছে সংক্রমন আতঙ্কে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্বাস্থ্য কর্মী ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারি বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ টিকা প্রদানসহ করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে অনেকেই সংক্রমিত হচ্ছেন। ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইপিআই টেকনোলজিষ্ট কামাল ও তার স্ত্রী সহ দুই কন্যা করোনা আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের ভিতর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অনেকেই আতঙ্কে মাঠ পর্যায়ে সাধারন জনগনকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে অনিহা দেখা দিয়েছে।


স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে স্বাস্থ্য কর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। উপজেলায় স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত সকলের জন্য সরকারের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ থেকে পিপিই, মাস্ক, হ্যন্ডসেনিটাইজার, সাবান প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের ডিজিটাল থার্মস্কানার দিয়ে সকল স্বাস্থ্য সেবা গ্রহীতাদের পরিক্ষা করে সেবা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি পালস্ অক্সিমিটার, ডিজিটাল থার্মমিটারসহ সকল সুরক্ষা সামগ্রি দেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ব্যবহার না করেই চলে চিকিৎসা সেবা প্রদান। ফলে স্বাস্থ্য কর্মিদের মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমন। স্বাস্থ্যকর্মী নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরাও হচ্ছেন সংক্রমিত।


ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার সমদ্দার বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে জানান, এ হাসপাতালে পৃথক একটি করোনা ইউনিটে ১৬জন রোগিকে অক্সিজেন প্রদান সহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যান্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও দক্ষ জনবল না থাকায় গুরুতর অসুস্থ্য রোগিদের জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ক্লিনিক্যাল ৫৯টি পদের মধ্যে ৩২টি পদ শুন্য। নন ক্লিনিক্যাল অধিক্ষেত্রে অনুমোদিত ৪৮টি পদের মধ্যে ১৮টি পদ শুন্য থাকায় চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। তার পরেও আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, দ্বিতিয় ধাপে এ উপজেলায় করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩৬৫জন। এর মধ্যে সংক্রমিত রোগী ৯জন ও লক্ষন নিয়ে ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩জন উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৭২জন বাড়িসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। হাসপাতালে ৪০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে, এছাড়াও ৮টি বড় সিলিন্ডার কেনা হয়েছে।


রামপাল উপজেলা হাসপাতালে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হলেও রয়েছে অবকাঠামো ও জনবল সংকট। এখানে নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা বিঘিœত হচ্ছে। এনেসথেসিয়া, গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় গর্ভবর্তী মায়েরা থাকে প্রসব কালিন ঝুঁকিতে। নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হলেও কোন অপারেশন করা হয় না। অন্য দিকে ৩১ শয্যার অবকাঠামোতে চলছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। তার উপর করোনার জন্য পৃথক ৬ শয্যার আইসোলেসন কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। ডাক্তারের পদ আছে ৩৮জন সেখানে কর্মরত আছেন মাত্র ৮জন। টেকনিশিয়ান ৩জনের মধ্যে কর্মরত আছে ১জন। এক্সে মেশিন আছে তবে জনবল সংকটে কার্যক্রম বন্ধ। করোনা পরিক্ষা করা হলেও জনবল সংকটে প্যাথলজিতে চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।


রামপাল উপজেলা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুকান্ত কুমার পাল বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, জনবল ও অবকাঠামো সংকটের মধ্যেও আমরা করোনা রোগিদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৬টি শয্যা সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে ৩৮টি। গর্ভবতি মা সহ যে সকল রোগিদের চিকিৎসা দিতে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি তাদের আমরা জেলা বা বিভাগীয় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে। যা শেষ হলে এ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা কাজ আরো বেগবান হবে।

স্থানীয়রা জানান, এক শ্রেনির লোকজন প্রতিনিয়ত মোংলা বন্দর, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদেশি লোকের সাথে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কাজ করে। এছাড়াও বহিরাগত লোকজন প্রতিদিন কাভার্ডভ্যান, মাইক্রো, এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যাতায়াত করায় ও সাধারন জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনা সংক্রমন বাড়ছে।


ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সুরক্ষা সামগ্রি প্রদান করা হয়েছে। সেবা দিতে গিয়ে অনেকেই করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। তবুও থেমে নেই করোনা মোকাবেলায় উপজেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা। তবে করোনা কালিন সময়ে অলস সময় কাটানো ব্যক্তিদের অসচেতনতায় বাড়তে পারে অনাকাঙ্খিত গর্ভ ধারন। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে আমরা সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত