চিতলমারীতে সুবিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০২:০২ এএম, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২ | ৩৬৩

চিতলমারীতে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে দ্বিতীয় দফায় ভাংচুর ও হামলার শিকারের পর ওই পরিবারের সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বৃদ্ধা মাকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানরা বর্তমানে সুবিচারের আশায় পথে পথে ঘুরছেন। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।


শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হিজলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম নুরুন নবী খানের ছেলে মোহাম্মদ সাইফুল্লা খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার বাবার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং-৬৩৮। গত ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী আমার বাবা মারা যান। আমার বৃদ্ধা মা, ৩ ভাই ও ২ বোন পিতার ওয়ারিশ। ১৯৮৬ সালে আমার বাবা চিতলমারী হাসপাতালের সামনে চিতলমারী-আড়–য়াবর্নী মৌজার এস এ ৫ নং খতিয়ানের ১৪০/১৫৯ দাগের ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। আমরা খুলনায় বসবাসের কারনে মাঠ জরিপে আমাদের নামে ১৬ শতক জমি রেকর্ড হয়। ওই জমিতে আমাদের একটি টিনসেড ঘর ছিল। গত এপ্রিল মাসে ওই জায়গা পরিস্কার ও ঘর মেরামত করতে গেলে প্রতিপক্ষ আড়–য়াবর্নী গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে এস এম দীন ইসলাম ১৫-১৬ জন লোক নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায় ও ভাংচুর করে।

এরপর থেকে আমরা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি বিচারের আশায়। এ ঘটনার রেশ না কাটতেই শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে দ্বিতীয় দফায় প্রভাবশালী এস এম দীন ইসলাম ৩০-৩৫ জন লোক নিয়ে আমাদের ওই ঘর ভাংচুর করে বেড়া দিয়ে জায়গা দখল করতে যায়। খবর পেয়ে আমরা ৪ ভাই-বোন বাধা দিতে গেলে তাঁরা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে লাঞ্ছিত করে। ওদের দফায় দফায় ভাংচুর ও হামলায় আমরা গোটা পরিবারে সদস্যরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। জানিনা নায্য বিচার পাব কিনা।

ভাংচুর ও হামলার কথা অস্বীকার করে এস এম দীন ইসলাম বলেন, ওই জায়গা নিয়ে আমি বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। ওরা ঘর তুলতে এলে পুলিশ বাধা দিয়েছে।


চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, জায়াটি নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওখানে শান্তি শৃংখলা বজায় আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত