মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষকের অবৈধ পদায়নের অভিযোগ

মেহেদী হাসান লিপন,মোরেলগঞ্জ

আপডেট : ০২:১১ পিএম, রোববার, ১০ জুন ২০১৮ | ৯৬১

মোরেলগঞ্জ উপজেলার সেলিমগড় চিংড়াখালী আলিম মাদ্রাসার দাখিল ক্বারী মোক্তার আলী খানকে অবৈধভাবে পদায়ন করে সহকারী মৌলভী নিয়োগ নিয়ে অতিরিক্ত সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।


অভিযোগে জানা গেছে, সেলিমগড় চিংড়াখালী আলিম মাদ্রাসার দাখিল ক্বারী পদে মোক্তার আলী খান ১৯৮৯ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তিনি এ পদেই যথানিয়মে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন ও ভোগ করে আসছেন। তিনি ১৯৯১ সালে চাকুরীকালিন কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বিধি বর্হিভূত ফাযিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন ও দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ন হন। অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এটিএম মতিউর রহমান ১৯৯৭ সালের ৩০ অক্টোবর গোপনীয় রেজুলেশনের মাধ্যমে টাইম স্কেল দেখিয়ে সহকারী মৌলভী হিসেবে পদায়ন প্রদান করেন। ১৯৯৮ সালে তিনি সহকারী মৌলভী হিসেবে বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। অথচ চাকুরী বিধি ১৯৯৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরের জনবল কাঠামোতে উক্ত পদটি বিলুপ্ত করা হয়েছে । যার কারনে উক্ত পদটি শূণ্য হলেও অধ্যক্ষ তাকে বিধি বর্হিভূত নিয়োগ প্রদান ও তার নাম এমপিও ভূক্ত করান।


১৯৯৬ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিদর্শণ ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ক্বারী মোক্তার আলী খান কর্তৃক অতিরিক্ত গৃহীত ৭ হাজার ১০৩ টাকা ফেরতযোগ্য মর্মে সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সে সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে তিনি সহকারী মৌলভী পদের বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন। ২০১১ সালে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছেন অধ্যক্ষ এটিএম মতিউর রহমান। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. তোফাজ্জেল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


এ ব্যাপারে মোক্তার আলী খান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমি প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়েছি কিন্তু সার্টিফিকেট হয়েছে নিয়মিত। পরে বোর্ড থেকে ঠিক করে এনেছি।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এটিএম মতিউর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, তার নিয়োগ আমার সময় নয়। তবে ওর সার্টিফিকেটে কিছু সমস্যা আছে। তাকে বলার পরে বোর্ড থেকে ঠিক করে নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত