এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

মোরেলগঞ্জে অর্ধশত বছর ধরে জরাজীর্ণ একটি বিদ্যালয়

মেহেদী হাসান লিপন

আপডেট : ০৪:৩৭ পিএম, শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১৯১৩

মোরেলগঞ্জের ১১৪ নং এসপি বারইখালী সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়টি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি নির্মানে সরকারিভাবে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ আজো গৃহিত হয়নি।
পাওয়া যায়নি কোন সহযোগীতা। বয়সের ভারে ন্যুজ্ব।

এ ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের দুটি কক্ষে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে কাশ করেছে। বিদ্যালয়টি অর্ধশত বছর ধরেই জরাজীর্ন। এ বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষনার পরও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে পাঠ কার্যক্রম অব্যহত রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ করুন অবস্থায় আবেদনের প্রেক্ষিতে বেসরকারি সংস্থা মুসলিম এইডের আর্থিক সহযোগীতায় ২০১১ সালে তিন রুম বিশিষ্ট টিনের ঘর নির্মিত হয়। এ তিন রুম বিশিষ্ট শ্রেণী কক্ষে ১৪২ জন শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলান হয়না। ঠাসাঠাসিতে শিক্ষা কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য দারুনভাবে ব্যহত হচ্ছে। অপরদিকে শিশু শিক্ষার্থীরা গরমের প্রভাবে কাশে মনযোগী হতে পারছেনা।


বর্তমানে টিন সেট ভবনটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির পাশাপাশি রয়েছে শতভাগ ইউনিফর্ম । সমাপনি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের সাফল্য, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপনে সকলের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহন, ক্ষুদে ডাক্তার ও স্টুডেন্ট কাউন্সিল কার্যক্রম,অভিযোগ বাক্স স্থাপন, নিজস্ব উদ্দ্যোগে স্কুল গেট নির্মান, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীর নবীন বরন উৎসব, বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সব্জি ও ফুলের বাগান তৈরী , খেলাধুলায় কৃতিত্ব, মা সমাবেশ উৎযাপন সহ নানা কৃতিত্বে স্বাক্ষর রেখে চলেছে এ বিদ্যালয়টি।


প্রধান শিক্ষক ফারজানা বিথি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বিদ্যালয়টি অনতিবিলম্বে নির্মান করা জরুরী। তাছাড়া এত জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করা অম্ভব হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: আসাদুজ্জামান সোহেল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, অগ্রাধিকার ভিত্তিকে এ বিদ্যালয়টি নির্মান খুবই প্রয়োজন। এলাকাবাসি জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি নির্মানের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত