চিতলমারীতে বৃদ্ধা নমিতা আশির্বাদ করলেন ইউএনও’কে

এস এস সাগর

আপডেট : ০৮:২১ পিএম, শুক্রবার, ১ মে ২০২০ | ৬৭৩

নিজে হাতেই খাদ্য সামগ্রীর বস্তা পৌঁছে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম

শুক্রবার রাত ৮ টা। থেমে থেমে বৃষ্টি। কাঁধে খাদ্য সামগ্রীর বস্তা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম নিজেই হাজির হলেন বয়োবৃদ্ধ নমিতা রানীর (৮০) বাড়িতে। বৃদ্ধা নমিতার বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল শান্তিপুর এলাকায়। মরণঘাতী করোনার প্রকোপে বৃদ্ধার চলছিল মানবেতর জীবন-যাপন। এমন খবর পেয়েই উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে হাতেই খাদ্য সামগ্রীর বস্তা পৌঁছে দেন নমিতা রানীর হাতে। খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নমিতা এবং আশির্বাদ করেন চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলমকে।

উপজেলার সাধারন মানুষেরা জানান, দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবের পর থেকেই মাঠে নেমে পড়েন সদা হাস্যেজ্বল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম। তিনি মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাঠ পর্যায়ে নিরলস ভাবে কাজ করছেন। খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন অসহায় গরীব মানুষের ঘরে ঘরে। মানুষকে ঘরে রাখতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরছেন গ্রামে গ্রামে। করছেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা। তার এই কর্মকান্ডকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, দেশে মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তিনি সরকারি নির্দেশ ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের দিক নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছেন। এই মুহুর্তে প্রধান কাজ হলো সংক্রমণ ঠেকাতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঘরে রাখা এবং কর্মহীন হতদরিদ্রদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি খবর পান বৃদ্ধ নমিতার অসহায়ত্বের কথা। রাতেই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে ছুটে যান তার বাড়িতে।

তিনি আরও জানান, এ উপজেলায় এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ভাবে প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে মানবিক সাহায্য দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও পরিবারকে এ সহয়তা প্রদান করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত