চিতলমারীতে করোনা জয়ী দম্পতি পেল প্রধানমন্ত্রী’র চেক

এস এস সাগর

আপডেট : ০৭:৩৯ পিএম, রোববার, ২৪ মে ২০২০ | ৬৫৩

চিতলমারী উপজেলার চরচিংগুড়ী গ্রামের করোনা জয়ী গার্মেন্টস দম্পতি মোঃ ইমরান শেখ (২৫) ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার (১৮) উপহার স্বরুপ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ৫০ হাজার টাকার চেক পেয়েছেন। রবিবার সকাল ১১ টায় তাদের বাড়িতে গিয়ে উপজেলা প্রশাসন ২৫ হাজার টাকার দুইটি চেক ও ঈদ উপহার প্রদান করেন। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আক্রান্ত ওই স্বামী মোঃ ইমরান শেখ ও স্ত্রী সুমি আক্তার ঢাকার জুরাইনের একটি গার্মেন্টসের কর্মি ছিলেন। সেখান থেকে তারা দুজন গত ৯ মে টুংঙ্গিপাড়া স্ত্রীর বাপের বাড়িতে আসেন। গত ১০ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠালে দুইজনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ১১ মে বিকালে স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগুড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে আসেন। পরবর্তীতে ১২ মে ১০ টার দিকে ওই বাড়ির আশেপাশের আরো ৬টি বাড়িসহ মোট ১১টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয় এবং আক্রান্ত ওই দম্পতির পরিবারের ৬ সদস্যসহ মোট ১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে তা নেগেটিভ আসে। এছাড়া পরপর ৩ বার ওই দম্পতির নমুনা পরীক্ষা নেগেটিভ আসায় তাদেরকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়।

করোনা জয়ের পর তারা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আর্থিক অনুদান চেয়ে পৃথক পৃথক আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে উপহার স্বরুপ প্রেরিত ২৫ হাজার টাকার দুইটি চেক ও ঈদ উপহার রোববার সকাল ১১ টায় তাদের প্রদান করা হয়।


এসময় উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান মিলন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহাতাবুজ্জামান, চিতলমারী থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ আকরাম হোসেন, কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ বাদশা শেখ ও চিতলমারী প্রেসকাবের সভাপতি মুন্সী দেলোয়ার প্রমূখ।


করোনা জয়ী দম্পতি মোঃ ইমরান শেখ ও সুমি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এখন পুরোপুরি সুস্থ্য। হোম আসোলেশনে ১৪ দিন কেবল ডাক্তারি পরামর্শ মেনে চলেছি আর আল্লাহকে স্মরণ করেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমরা সকলকে নিয়ে ভাল আছি।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত