গণপরিবহনের লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রথমদিন: নেই বাড়তি চাপ যাত্রীর

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শরণখোলা থেকে ছেড়েছে দুরপাল্লার পরিবহন

আপডেট : ০৬:৫৯ পিএম, সোমবার, ১ জুন ২০২০ | ৮৭৮

গণপরিবহনের লকডাউন তুলে নেওয়ার প্রথম দিন সোমবার বাগেরহাটের শরণখোলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দুরপাল্লার দিবা ও নৈশ মিলে ২০টি বাস ছেড়ে গেছে। সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রী বসানো হয়েছে বাসে। অন্যান্য বছরে ঈদ পরবর্তী যাত্রীদের যে চাপ থাকে সে তুলনায় এবারের সংখ্যা তার ১০ভাগের একভাগ। এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহন কাউন্টারের পরিচালকরা।

এদিন বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সরেজমিন রায়েন্দা-রাজৈর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোর প্রতিনিধিরা মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে টিকিট কাটছেন। প্রত্যেক কাউন্টারের সামনে হাত ধোয়ার জন্য সাবান-পানি রাখা হয়েছে। তবে আগের মতো জমজমাট অবস্থা নেই স্ট্যান্ডে। কাউন্টারেও যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। দু-একজন করে যাত্রী আসছে। তাদেরকে হাতে-পায়ে স্প্রে করে উঠানো হচ্ছে বাসে। বাসের ভেতরের সিটগুলো নতুন করে পলিথিন দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি দুই সিটে একজন করে যাত্রী বসানো হচ্ছে।

ফালগুণী পরিবহন কাউন্টারের পরিচালক মো. গুলজার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, প্রতিদিন তার দিবা ও নৈশকালীন মিলে ১০টি বাস ঢাকার সায়েদাবাদ ও মিরপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় পর পরিবহনের লকডাউন তুলে নেওয়ায় যাত্রীদের যে চাপ থাকার কথা তা নেই। তাছাড়া ঈদের বাড়তি যাত্রীও হচ্ছে না। অন্যান্য বছরে ঈদপরবর্তী সময়ের চেয়ে এবার যাত্রীসংখ্যা ১০ভাগের একভাগ। সব কাউন্টারেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

মেঘনা পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. আবু তালেব বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, একজন যাত্রী তার বাড়িতে যতোটা সুরক্ষিত থাকেন, তাদের পরিবহনেও সেই একইরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে হাত-পায়ে স্প্রে করে তোলা হচ্ছে। যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে উঠার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একজন যাত্রীকে দুই সিটের টিকিট নিতে হচ্ছে। এজন্য তাদেরকে সরকার নির্ধারিত ৬০পার্সেন্ট টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

কাউন্টার পরিচালকরা জানান, প্রতিবছর ঈদের পর যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হতো। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ঈদের বাড়তি যাত্রী নেই। নিয়মিত যা হয় প্রথম দিনে যাত্রী তার চেয়েও কম। ধীরে ধীরে যাত্রীসংখ্যা আরো কমে আসবে বলে তারা হতাশা প্রকাশ করেন।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, যাত্রী চলাচলের ব্যাপারে বাস মালিক সমিতির নেতা এবং পরিবহন কাউন্টার মালিকদের ডেকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। কেউ যদি নিয়ম না মানে বা কোনোরকম স্বাস্থ্যবিধি লংঘন হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত