প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলন

শরণখোলায় মসজিদের ঘাট নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৫:০৩ পিএম, শুক্রবার, ২৫ মে ২০১৮ | ৭৫৬

বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি মসজিদের পুকুরের ঘাট ব্যবহার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদে সমান অংশে জমি দান করা সত্তেও এক পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাধারণ মুসল্লি ও অন্য দাতাদের ওই পুকুরঘাট ব্যবহার এবং অজু-গোসল করতে দিচ্ছে না। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় শরণখোলা প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ওই মসজিদটির জমির দুই অংশের দাতা মাষ্টার মো. নান্নামিয়া আকন।

নান্নামিয়ার লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের পূর্ব রাজাপুর গ্রামের ২নং রাজাপুর মৌজার ২৪৬২ ও ২৪৬৩ নং দাগসহ আরো বিভিন্ন দাগ থেকে তার বাপ-চাচারা তিন শরিক মিলে ১একর ৫৯শতক জমি মসজিদের নামে দান করেন। এর মধ্য থেকে ১২ শতক জমিতে পুকুরসহ আকন বাড়ি জামে মসজিদ নামে একটি মসজিদ নির্মান করা হয়। মুসল্লি ও বাড়ির লোকজনের অজু গোসলের সুবিধার জন্য ২০১০ সালে সরকারের এডিপি প্রকল্প থেকে ওই পুকুরে একটি পাকা ঘাট নির্মান করা হয়। অথচ বেশ কিছুদিন ধরে একাংশের দাতা পক্ষের হাফিজুর রহমান আকন, নূরুল ইসলাম আকন, পারভেজ আকন, সোহেল আকন গ্রুপ সাধারণ মুসল্লি ও জমির বেশি অংশের দাতাদের ওই পুকুরের ঘাট ব্যবহারে বাঁধা দিয়ে আসছেন। এ সুযোগে তারা মসজিদের নামে থাকা অন্য জমি কৌশলে দখলের পাঁয়তারা করছে।

এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা ক্ষীপ্ত হয়ে গত ১৭মে সকালে নান্না মাষ্টারের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিজস্ব জমিতে রোপনকৃত কলা গাছসহ বিভিন্ন গাছপালা কেটে ফেলে। তাছাড়া মিথ্যা মামলাসহ নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। গ্রামের সাধারণ মানুষ ও মুসল্লিরা তাদের হুমকি, বেপরোয়া আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় বড় ধরণের সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির হাত থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এব্যাপারে ৮নম্বর পূর্ব রাজাপুর ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশ (চৌকিদার) ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, হাফিজুর আকন, নূরুল ইসলামসহ প্রতিপক্ষরা মসজিদের পুকুর ঘাট ব্যবহারে নান্না মাষ্টার ও অন্য দাতাদের নিষেধ করেছে। এটা তারা ঠিক করেনি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জমিদাতাদের মধ্যে আ. ছত্তার আকন, মো. জয়নাল আকন, মো. নাছির আকন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত