জনসাধারনের দূর্ভোগ চরমে

দুই বছরেও নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি রামপাল হতে বেলাই ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটি

এম,এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৫:৪১ পিএম, মঙ্গলবার, ৯ জুন ২০২০ | ৮৭৮

রামপাল থেকে বেলাই ব্রীজ পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সময় ক্ষেপনের অভিযোগ উঠেছে। রামপাল সদর থেকে মোংলা বন্দরে সহজভাবে যাতায়াতের জন্য ও ওই এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওই রাস্তা নির্মান সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরসহ আশপাশের মানুষের চলাচলের জন্য সময় বাচবে এবং প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তার দুরত্ব কমবে। রাস্তাটি নির্মানে ধীর গতির কারনে এলাকার শত শত মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

৪ কোটি ৫৬ লক্ষ ৭২ হাজার ১৮৫ টাকা ব্যয়ে নির্মানাধীন রাস্তাটি ২০১৮ সালের ৩ মে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ২ মে নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়িয়েও এখন পর্যন্ত নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়নি। রামপাল এলজিইডি এর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৫ কিলোমিটার লম্বা রাস্তাটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এ জলিল খান বাস্তবায়ন করছে। গত ০৩/০৫/২০১৮ তারিখ পাকা রাস্তাটির নির্মান কাজ শুরু হয়। যা ০২/০৫/২০১৯ তারিখে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এরপর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সময় বাড়ানোর আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩১/১২/২০২০ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপরও বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করে ফেলে রাখায় এলাকার মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যত্রতত্র রাস্তায় ইট ও খোয়া ফেলে রাখায় চলাচলে আরও দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময় সীমার পরও ১৩ মাসের ও বেশী অতিবাহিত হলেও নির্মান কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোঃ জিয়াউর রহমান সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোঃ গোলজার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পর ও গড়িমসি করছে। সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা জানান, নতুন করে সময় বৃদ্ধির পরও অনেক দেরি করে ফেলেছে।

জনদূর্ভোগ ও রাস্তাটি নির্মানে ধীর গতির বিষয় রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এ উপজেলার উন্নয়নের ব্যাপারে আমরা কোন আপোষ করিনা। আমাদের উন্নয়ন কাজে কেউ যদি কোন প্রকার গাফিলতি করেন, তবে অবশ্যই বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত