মোংলা বন্দর থেকে অভ্যন্তরীন সকল রুটে পরিবহন ধর্মঘট

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:২২ পিএম, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯ | ৫৬৮

সড়ক পরিবহনের ঘোষিত আইন বাতিলের দাবিতে মোংলা বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরীন সকল রুটে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। পরিবহন শ্রমিকদের এ ধর্মঘটের কারনে ১৮ নভেম্বর সকাল থেকে দূর পাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর এতে চরম দূর্ভোগের মুখে পড়েছেন যাত্রীরা।


পরিবহন শ্রমিক নেতারা বলছেন, রাস্তায় দুর্ঘটনার মামলা জামিনযোগ্যসহ সড়ক আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন চান চালকরা। তাদের দাবি, আইন সংশোধনের পরই এটি দ্রুত কার্যকর করা হোক। এটা না করা পর্যন্ত আমাদের এ র্কম বিরতী চলবে।


তারা আরো বলেন, সরকারের বিভিন্ন দফতরে বারবার অনুরোধ সত্তেও আইনটি সংশোধন ছাড়াই বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ােভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে শুধু মোংলা নয় দক্ষিনাঞ্চল থেকে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শ্রমিক ফেডারেশন সভা ডাকা হবে, ওই সভার সকল এজেন্ডাগুলোর মধ্যে প্রথম এজেন্ডা থাকবে সড়ক পরিবহন আইন সম্পর্কে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহন।


এদিকে হঠ্যাৎ করে মোংলা থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। সকালে যশোরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়া যাত্রী একলাছুর রহমান জানায়, যশোরে একটি জরুরী কাজের প্রয়োজনে সকালে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নিয়েছিলাম কিন্ত মোংলা বাসষ্টান্ডে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে চালক ও শ্রমিকরা। তবে সরকার য়ে অঅইন করেছে এ আইনের প্রতি আমরা শ্রোদ্ধাসীল ও সমার্থন জানাই কারন, সড়ক মহাসড়কে যখন বাস ট্রাক চলাচল করে তখন চালকরা কোন সড়ক আইন মেনে চলেনা। তারা তাদের ইচ্ছামত গাড়ী চলাচ্ছে। এছাড়াও চালক ও শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছাখুশী ভাড়া আদায় করছে। এতে প্রতিবাদ করলে বাস চালক ও শ্রমিকদের হাতে লাঞ্চিত হতে হয় হরহামেশা। এমনকি অনেক যাত্রী চালক ও শ্রমিকদের হাতে মারধর খেয়ে হাসপাতালের বেডে কাতড়ানোরও বহু অভিযোগ রয়েছে।


খুলনা আন্তঃজেলা বাস-মিনিবাস, কোর্স ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারনে সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমরা বাস চলাচল বন্ধ রাখিনী তবে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের প্রতিবাদে শ্রমিকরা বাস চালাচ্ছেন না। তারা অনিদৃষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন।


তিনি আরও বলেন, কোনো কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে নতুন আইনে চালকদের মৃত্যুদন্ড এবং আহত হলে ৫ লাখ টাকা জড়িমানা দিতে হবে। আমাদের এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নেই এবং বাস চালিয়ে আমরা জেলখানায় যেতে চাই না। বাংলাদেশে এমন কোনো চালক নেই যে ৫ লাখ টাকা জরিমানা দিতে পারবে। কারণ একজন চালকের বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। এ বাজারে যা দিয়ে সংসার চালানো, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালানো দায়, আবার সরকারের কঠোর সড়ক আইন। এ কারণেই নতুন পরিবহন আইন সংশোধনের দাবি জানান শ্রমিকরা। সরকারের করা এ আইন যুক্তিযুক্ত নয়, তাই অবিলম্বে এ আইন বাতিল করার দাবি জানান চালক, শ্রমিক ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত